চারদিকে করোনার ভয়াবহ ছড়িয়ে যাওয়ার শংকায় সকলে অবরুদ্ধ। দেশ থেকে দেশান্তরে নানান পেশার মানুষের পাশে দাড়িয়ে সরকারগুলো সাহস যোগাচ্ছে। সমস্যা কাটিয়ে উঠতে প্রনোদনারও ঘোষনা দেয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ী থেকে কৃষক এবং স্বল্পপুজির ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যন্ত রয়েছে এই সুবিধার অাওতায়। অথচ জাতির নানান ক্রান্তিকাল দেশের সংবাদমাধ্যমের বলিষ্ঠ ভুমিকা জীবন উৎসর্গ করার ইতিহাস রয়েছে। চলমান সময়ে এমন ভয়াবহ পরিস্থতিতে যেন পাশে কেউ নেই।
করোনা অাক্রান্ত সাংবাদিকের দায়িত্ত্ব নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। মুখ ফিরিয়ে রয়েছে রাষ্ট্র। অার পেশাগত দায়িত্বপালনে মারা গেলে লাশের দাফনটাও কোথায় কিভাবে হবে জানেনা তার পরিবার।
বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে সঠিকভাবে তথ্য পৌঁছেছে কিনা অামরা জানিনা। বঙ্গবন্ধু সাথে তৎকালীন সময়ে সাংবাদিকের যে উচ্চতায় স্নেহ অার অাদরের সম্পক ছিলো অাজকের সময়কালে সেটা অার ধরে রাখা হয়ে উঠেনি। হয়তো এটা বর্তমান সাংবাদিক সমাজের বড় অযোগ্যতা। এটা নিয়ে বিস্তর কথা বলা যায় তবে সে প্রসঙ্গে অাজ যাচ্ছি না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতির পিতার শুন্যতা ভিষন ভাবে
অনুভব করছি। তিনি থাকলে এমন একটা সময়ে সংবাদমাধ্যমের মানুষের মাঝে এমন হতাশা নৈরাস্য বিরাজ করতো না।
ব্যক্তি ও রাজনীতিক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গণমাধ্যমের ক’জন ব্যক্তিত্বের স্মৃতি কথা তুলে ধরছি।
নিজের তারুণ্যে সাংবাদিকতাও করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর রাজনীতির কারণে দেশের গণমাধ্যমের খবরের মূল উৎস ছিলেন তিনি। তাই গণমাধ্যমের সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কটা ছিল অন্য মাত্রায়।
সিনিয়র সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেন ১৯৬৫ সালে ইত্তেফাকের অফিসে গিয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে বৈঠক করতেন বঙ্গবন্ধু। এ সময় সম্পাদকদের নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে কিভাবে শক্তি সঞ্চার করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হত। এছাড়া স্বাধীনতার পর ইত্তেফাকের উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি।
মুক্তচিন্তা, স্বাধীন গণমাধ্যম ও সমালোচনাকে স্বাগত জানানোর মানসিকতা দেখেছেন তাঁর সান্নিধ্য পাওয়া গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
সিনিয়র সাংবাদকরা জানান, ‘তাদের বঙ্গবন্ধু বলতেন তোরা যদি সমালোচনাই না করতে পারিস তাহলে লিখিস কেন? বঙ্গবন্ধু বলতেন সমালোচনা করতে না পারলে ভাল খারাপ বুঝবো কিভাবে? তারা জানান বঙ্গবন্ধুর সময় কখনো বঙ্গভবন থেকে কল আসেনি যে এটা লিখা যাবে না।’
চারটি সংবাদপত্রকে ১৯৭৫ সালের শুরুর দিকে জাতীয়করণ করে বাকি সব জাতীয় পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া বঙ্গবন্ধু শাসনের একটি বড় সমালোচনার জায়গা হিসেবে দেখেন অনেকে। কিন্তু চাকরি হারানো সাংবাদিকদের জীবিকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর দায়িত্বশীল মানবিক আচরণের স্মৃতি হয়ে আছে এই গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বিদের কাছে।
এ বিষয়ে কামাল লোহানী জানান, বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নে ১০০/২০০ পাতাসম্বলিত মান্থলি/উইকলি পত্রিকা খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু যেখানে কাজের সুযোগ ছিল চাকরি হারানো সাংবাদিকদের।
তারা বলেন, কারও প্রতি তার বৈষম্যমূলক আচরণ ছিলনা, এমনকি ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শীদের জন্যও ছিল বঙ্গবন্ধুর সমান দৃষ্টিভঙ্গি।
সিনিয়র সাংবাদিকরা জানান, বাকশালে প্রায় আড়াইশ সাংবাদিক নাম লিখিয়েছিলো।
ফিরে অাসি নিজেদের কথায়, অামরা প্রত্যাশা করি এমন দুর্দীনে বঙ্গবন্ধু কন্যা একটু সদয় হবেন। পাশে দাঁড়াবেন অসহায় সমস্যাপিড়িত সংবাদমাধ্যম কাজ করা মানুষগুলোর।
অাপনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট করেছেন। ওয়েজবোর্ড এর সুফল পেতে শুরু করেছে কিছু কিছু সংবাদ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিক বন্ধুরা।
অনেক প্রবীণ বয়স্ক এবং অসুস্থ বেকার সাংবাদিক অনেক অসহায় সময় অতিবাহিত করছে।
অাপনাকে উদযোগ নিতে হবে, সংবাদমাধ্যমে সকল অনিয়ম অার নিপিড়ণের বিরুদ্ধে। অাপনার দিকেই চেয়ে রয়েছে দেশের পুরো সাংবাদিক সমাজ।
জাতির পিতার শুণ্যতা অাপনাকে দিয়েই পুরণ করার স্বপ্ন দেখি অামরা।।।।
শাহিন বাবু কতৃক সম্পাদিত
মুলসুত্র : বৈশাখী টেলিভিশন
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com