পৃথিবীতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৫ মাস হয়েছে। প্রথম দিকে মানুষ জন আক্রান্তের হওয়ার ভয় কাজ করতো, আজ কাল তা আর মনে হয় না কারো।বিশ্বের আড়াই লাখের অধিক মানুষ মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে, আক্রান্তের সংখ্যাও দিন দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। তাও সচেতনতার বালাই নেই,মৃত্যুর ভয় নেই। বিত্তশালীদের গরীবের উপর অত্যাচার,চুরের চুরি ও বিকৃত মনমানসিকতার মানুষের নেই কোনো পরিবর্তন।প্রতিদিন চারপাশে নানা রকম অন্যায়, অবিচার, খুন, দর্শন , চুরি,রাহাজানি, জমি দখল ইত্যাদি দেখে দেখে বিস্বাদ হয়ে যাচ্ছি।
এই ত গত ৯ই মে গাজীপুরে সাড়ে ৫ বছরের এক মেয়ে কে অপহরণ করে বাসায় নিয়ে গেলে কান্না করতেছে বিদায় গলায় ফাশ দিয়ে হত্যা করে পরে মুক্তিপণ দাবি করেছিলো দুই জন তরুণ ।কী ছিলো এই বাচ্চা মেয়ে টার দুষ? এই মেয়ে তো হতে পারতো দেশের বড় ডাক্তার, পুলিশ, সচিব,জর্জ, ব্যরিস্টার, মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক।
গত মাসের ২৩ তারিখে গাজীপুরের মাওনা এলাকায় মায়ের সামনে মেয়ে কে দর্শন, মেয়ের সামনে মা কে দর্শন করে পরে জবাই করে হত্যা করে। মা, ২মেয়ে ও ১ ছেলে সহ মোট ৪জন কে সেই দিন জবাই করে হত্যা করা হয়।
প্রতিবন্ধী ছেলে টাও রক্ষা পায়নি এই মানুষ মধ্যে থাকা অমানুষের হাত থেকে।এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৫জন মিলে। এই ৫জনের মধ্যে আপন বাবা ও ছেলে সম্পর্কে আছে দু জন।
যে খানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বার বার বলতেছে সবাই কে মানবিক হওয়ার জন্য আর সেখানে প্রতিদিন খবরের কাগজে সরকারি ত্রাণ চুরির নানা রকম সংবাদ।
ডাক্তার নার্সরা সরাসরি নিজের জীবন বাজী রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষের। আর এই দিকে বাসার মালিকরা তাদের বাসা থেকে বের করে দিচ্ছে করোনায় চিকিৎসা ও সেবা দেয় বলে। যদি এরা করোনায় আক্রান্ত হয় তখন কী করবে?
এক শ্রেণীর লোভী ব্যবসায়ীরা নকল দুই নাম্বার ঔষধ, পিপিই দিয়ে দেশের মানুষের কে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনিয় দ্রবের দাম বৃদ্ধি করেছে।এরা মানবিক হতে পেরেছে?
করোনা ভাইরাস হয়েছে সন্দেহ করে ছেলে মাকে জংগলে ফেলে দেয় রাতের আঁধারে।চিকিৎসা না পেয়ে ছেলে কুলে মাথা রেখেই মারা যাচ্ছে বাবা অপর দিকে ছেলে মারা যাচ্ছে বাবার কুলে।এমন দেখি সারা রাত বাবার লাশ গ্রাম বাসী করব দিতে না দিলে সারা রাত রাস্তায় রাস্তায় ঘুটতে।হাসপাতালে লাশ পরে থাকে কেউ নিতে আসে না আবার হাসপাতালে বৃদ্ধ বাবা মা কে রেখেই পালিয়ে যাচ্ছে সন্তানরা।করোনা না আসলে হয় তো মানুষ কতো টা অমানবিক হতে পারে বুঝা যেতো না।
এই বৈশ্বিক মহামারীতে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হবে আমাদের কে রক্ষা করতে।
সরকারের এখনি পরিসংখ্যান করে আগামী বাজেট পেশ করা উচিৎ বলে মনে করি।সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া এই করোনার বাজেট সুফল আসবে বলে মনে হয় না।
আসুন আমরা সবাই মানবিক হই। এই মানবিকতা অনুভব করেই হয়তো কামিনী রায় বলে ছিলেন
“ আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী ‘পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে ”
মোক্তাদুল পালোয়ান
সম্পাদক,
বাংলাদেশ সবুজপত্র
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com