কিস্তি আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হামিদুল হক।
গতকাল রোববার (৩১ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলেছে অফিস-আদালত। ঘরবন্দি লোকজনও নেমেছেন কাজে। এ পরিস্থিতিতে এনজিওগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে কিস্তি আদায়ের। কোথাও কোথাও কিস্তি আদায়ে ঋণগ্রহীতাদের চাপ দেয়ারও অভিযোগ আসছে।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার (০১ জুন) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক লিখেছেন, ‘এনজিও থেকে গৃহীত ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনো ঋণগ্রহীতাকে ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায় করা যাবে না। এ নিয়ে রেগুলেটরি অথরিটির নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করে কিস্তি আদায়ের প্রমাণ পেলে আইন ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কেউ স্বেচ্ছায় কিস্তি দিতে চাইলে সেক্ষেত্রে আপত্তি নেই।
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির মনিটরিং সেলের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, কোথাও জোর করে ঋণ আদায় করা হলে এনজিওর ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। প্রয়োজনে সেটাই করব আমরা।
তিনি বলেন, রাজশাহী থেকে দু’একটি অভিযোগ পেয়েছি; জোর করে ঋণ আদায় করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তা বন্ধ করেছি। বার বার সতর্ক করার পরও ঋণ আদায় করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।