রোজিনা যদি বেঁচেও যান, কিন্তু তার ভবিষ্যৎ জীবনের চাকা কীভাবে চলবে, হাসপাতালে শুয়ে থাকা অবস্থায় রোজিনা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না।রোজিনা আক্তার নিম্নআয়ের মানুষ। গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে কতই বা আয় তার। বাসচাপায় পা হারানোর পর সে উপায়ও আর রইল না।রোজিনারা ছয় বোন, এক ভাই। সঙ্গে বৃদ্ধ বাবা-মা। সংসার খরচের একটি বড় অংশ জোগান দিতেন এই তরুণী। এখন সবই পড়ে গেল অনিশ্চয়তায়। তার চিকিৎসার পাশাপাশি আর্থিকভাবে পুনর্বাসনও জরুরি। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বনানীর সৈনিক ক্লাব থেকে মহাখালীর মাঝামাঝি স্থানে বিআরটিসির বাসচাপায় রোজিনার ডান পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। তাকে পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বেসরকারি টেলিভিশন জিটিভি ও প্রকাশিতব্য দৈনিক সারাবাংলার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার বাড়িতে আট বছর ধরে গৃহকর্মীর কাজ করেন রোজিনা। হাসপাতালে আনার পর এখন পর্যন্ত চিকিৎসাব্যয় এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকই বহন করছেন।ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘শুক্রবার তার (রোজিনা) ছুটি ছিল। সে বেড়াতে গিয়েছিল। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে। আর খবর পেয়ে আমি এখানে এসেছি। আমি যতটুকু পারছি সাহায্য করছি। আপনারা নিউজ করলে তার উপকার হয়।রোজিনার মামী মাজেদা খাতুনও ছিলেন হাসপাতালে। তিনি জানান, রোজিনারা ছয় বোন ও এক ভাই। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানায় তাদের বাড়ি। তার বাবার নাম রসূল মিয়া। তিনি একজন কৃষক।