#ভারতের_ব্যাঙ্গালোর_ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করার পর জয় কিছু দিন চাকরি করে এরপর আরও উচ্চ শিক্ষার জন্য এমআইটিতে (আমেরিকা) চান্স পেল.আমি তার শিক্ষার খরচ দিতে পারিনি. দুটো সেমিস্টার পড়ার পর নিজে কিছু দিল, আমাদের কিছু বন্ধুবান্ধব সহযোগিতা করল, যার জন্য যেতে পারল.
#আর_আব্বার_বন্ধু_আমার_ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সব দায়িত্ব নিয়েছিলেন. উনি বলতেন, তুমি পলিটিক্স করো এটা আমার ওপর ছেড়ে দাও.তিনি না থাকলে আমি পড়াতে পারতাম না. এমনকি মিশনারি স্কুলে তারা পড়েছে. সাত দিনই সবজি বা ডালভাত খেতে হতো, একদিন শুধু মাংস খেতে পারত. এভাবে কৃচ্ছ সাধন করে এরা বড় হয়েছে.
#যখন_এমআইটিতে দিতে পারলাম না.আমি প্রধানমন্ত্রী, আমার দ্বিধা হল, কাকে বলব টাকা দিতে বা কীভাবে আমি টাকা পাঠাবো, বুঝতে পারিনি. কার কাছে দেনা হব? আমার কারণে তার পড়া হল না. দুটো সেমিস্টার করে তাকে বিদায় নিতে হল. তারপর সে চাকরিতে ঢুকল.
#২০০৭সালে_বউমা_অসুস্থ হলে দেখতে গেলাম. তখন তাকে অনুরোধ করলাম. কারণ আমার ভেতরে এই জিনিসটা খুব কষ্ট লাগত যে, আমি প্রধানমন্ত্রী হলেও তার পড়ার খরচ দিতে পারিনি. তখন আমি বললাম, তুমি হার্ভার্ডে আবেদন কর.আমি অনুরোধ করার পর সত্যি সে আবেদন করল.চান্স পেয়ে গেল.
#আমি_কথা_দিয়েছিলাম, ফার্স্ট সেমিস্টারের টাকা আমি দেবো. কিন্তু দুর্ভাগ্য তার আগে গ্রেফতার হয়ে গেলাম.তবে আমি চেয়েছিলাম, চান্স যখন পেয়েছে যেভাবে পারুক চালাক.পরে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে তা ভাড়া দিয়ে সেই ভাড়ার টাকা দিয়ে, কলেজ থেকে দূরে বাসা নিল যাতে সস্তায় বাসা পায়, গাড়ি রেখে মটরসাইকেল চালিয়ে সে আসত.'।
এই হল আমাদের দেশরত্নের পরিবারের জীবন দর্শন।
এমন লোভ লালসা হীন পরিবারই তো মানুষের কল্যানের জন্য প্রয়োজন।
-
#দেশরত্ন_শেখ_হাসিনা
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com