রায়পুরে তিন হাটেই বসছে স্থায়ী কোরবানির হাট! রায়পুরের পৌরসভা (নতুন বাজার) – মোল্লারহাট – হায়দারগঞ্জ তিন হাটেই বসছে স্থায়ী কোরবানির হাট! গ্রামে এবার কোন হাট বসছে না এটি নিশ্চিত। ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে হাটে পশু ওঠতে শুরু করছে। তবে বেচা-বিক্রি তেমনটা শুরু হয়নি। হাটে দর্শক আছে। ক্রেতা নেই! এদিকে অনলাইনেও কোনও সাড়া মিলছে না ক্রেতার। এমন পরিস্থিতিতে বেশ দুঃশ্চিন্তায় লক্ষ্মীপুরের খামারিরা। লোকশানের আশঙ্কায় রয়েছে তাঁরা! তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, ইতোমধ্যে অনলাইনে গরু বিক্রির জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে- এই খরা কেটে যাবে ঈদের দু’চারদিন আগেই।
লক্ষ্মীপুরের অন্যতম বৃহৎ গরুর হাট সদর উপজেলার বেড়ীর-মাথা গরু বাজার। এখানে রবিবার ও বৃহস্পতিবার হাট বসে।
আজ (২০ জুলাই) সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের প্রধান গরুর হাটে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, করোনায় বন্ধ থাকার পর হাট খোলা হলেও লোকসমাগম খুব সামান্য। খামারি ও বিক্রেতারা বলছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ক্রেতা মিলছে না। দু’একজন যা আসছেন- তাদের দাম কাঙ্খিত নয়। সে কারণে গরু বিক্রি করতে পারছেন না। তাদের মতে, মানুষের মধ্যে ঈদ নিয়ে কোনও আগ্রহই নেই। কেননা গত বছর এই সময়ে রাস্তায়, হাটে, খামারে ক্রেতারা কোরবানির জন্যে ঘোরাঘুরি করেছে। কিন্তু এবার কারোরই দেখা মিলছে না।
গরু বিক্রেতা রাজ্জাক মিয়া বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে বেশ কয়েকটি গরু এনেছি লক্ষ্মীপুরের এ হাটে বিক্রি করার প্রত্যাশায়, কিন্তু গত বছর যে গরু বিক্রি করেছি ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে দু্ই লাখ টাকায়; এবার সেটির দাম ১ লাখের বেশি উঠছে না। গরু বিক্রি না হলে কী যে হবে- তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি।
পশুরহাট নিয়ে রায়পুর উপজেলা দক্ষিণ চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজী বলেন, রায়পুর উপজেলার ০৮নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের বাহার আলী মোল্লার বাজারে পশুর হাটে হাজার মানুষের সমাগম।এই পশুর হাটে রেড জোনের বিভিন্ন জেলা যেমন বরিশাল, ভোলা, শরিয়তপুর,ফেনী, চাদপুর থেকে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা আমাদের জন্য অনেক দুশ্চিন্তার। এখানে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দুরত্ব। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই শুধু মাত্র গায়ের জোড়েই চলছে এই হাট।মহামারির এই কঠিন সময়ে সরকার যেখানে সর্বোচ্চ সতর্ক সেখানে কিছু সুবিধালোভি নিজেদের পকেট নিয়ে ব্যস্ত।জেলা প্রশাসন লক্ষ্মীপুর কে এই ব্যাপারে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. যোবায়ের হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে হাটে ক্রেতা কম ঠিকই কিন্তু ঈদ যত সামনে আসবে, কোরবানির পশুর চাহিদাও বাড়বে। তাছাড়া ইতোমধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রির একটি প্লাটফর্ম করা হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী জানান আগামীকাল আইনশৃঙ্খলা মিটিং আছে। সেখানেই এই তিন হাট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com