প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ৭:৩৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৭, ২০২০, ১০:৪৫ এ.এম
রাকার পরীরাজ্যে অ্যাডভেঞ্চারের প্রি অর্ডার পোস্ট চলে এল
আমার যে কী খুশী লাগছে। এ গল্প লিখে আমি খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। প্রচুর খাটাখাটনিও করেছিলাম।
চুম্বক অংশ--- --- ভয় লাগছে, রাকা? --- একটু। সত্যি কথাটাই বলল রাকা। --- ফিরে যেতে চাও? খানিক ভেবে নিল রাকা। নাহ, সে ফিরে যেতে চায় না। এত অভাবনীয় অভিজ্ঞতা তার জীবনে আসবে, কখনো ভেবেছিল নাকি? তাছাড়া ডোরা খালার দেয়া চেন লকেট তো রয়েছে তাকে রক্ষা করবার জন্য। সেইসাথে বুবুদের সে বিশ্বাস করে। ওরা তার কোনো ক্ষতি করবে না, এ বিশ্বাস তার আছে। মাথা নেড়ে জানিয়ে দিল যে সে ফিরে যেতে চায় না।
একটা ছোট্ট কৌটার মুখ খুলল বড়বুবু। সেখান থেকে আঙুলে খানিকটা ক্রিমজাতীয় জিনিস উঠিয়ে নিল। ক্রিমটা যেন চাঁদের আলো দিয়ে তৈরী। কেমন স্বচ্ছ। --- এটা তোমার চোখে মাখিয়ে দেই, রাকা। --- কী এটা, বড়বুবু? --- পরীদের মলম। --- ওহ! এর কথা ডোরা খালা আমাকে বলেছে। হাসল বড়বুবু।--- তাহলে নিশ্চয় জানো এ চোখে লাগালে কী হয়? --- ডোরা খালা বলেছে এটা দিলে পরীদের গোপন সবকিছু জানতে পারা যায়। --- হু, ঠিক বলেছে ডোরা।
এসো, তোমার চোখে লাগিয়ে দেই। বড়বুবু উড়ে এসে রাকার চোখে মলম ডলে দিল। মলম চোখ স্পর্শ করতেই কেমন এক শিরশিরে ঠান্ডা অনুভূতি হল রাকার। সে চোখ বুজে ফেলল। তারপর চোখ খুলতেই সামনে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে পেল। সারা বাগান জুড়ে অসংখ্য পরী। আর ড্রায়াডের গা থেকে কেমন রূপালি আভা বের হচ্ছে। সেদিকে ভালোমত তাকাতে আরো আশ্চর্য হয়ে গেল রাকা। ড্রায়াডের গুঁড়ির নীচে তিন ধাপ সিঁড়ি রয়েছে। সিঁড়ি গিয়ে শেষ হয়েছে এক তোরণ। তোরণের নীচে ড্রায়াডের গুঁড়ির গায়ে রয়েছে এক দরজা। দরজাটা খোলা। মেজবুবু রাকার বিস্ফারিত চোখ দেখে হাসতে হাসতে বলল --- পরীরাজ্যে স্বাগতম, রাকা। ছোটবুবু দুড়দাড় করে দৌড়িয়ে দরজা দিয়ে ঢুকে গেল --- চল চল। আর দেরী কেন? বড়বুবু রাকাকে বলল --- এ হচ্ছে পরীরাজ্যের প্রবেশপথ, রাকা। চল, ভেতরে ঢুকে যাই।
দাম: ২৫০ টাকা
প্রকাশনী: হাওলাদার প্রকাশনী
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail:
mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087,
01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model
Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com