লিয়াকত, রাজশাহী : রাজশাহীর দামকুড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দেলুয়া বাড়ি গ্রামে এক নারীর লাশ দাফনওেক কেন্দ্র করে মারামারি ৫ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। মফিজ এর প্রতিবেশী ভাতিজা আমির হোসেন বাদি হয়ে এই মামলা করেন। আমির হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। দেলুয়া বাড়ি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী সামসুন নাহারের নামাজে জানাযা শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়। সেইসাথে স্থানীয় গোরস্থান দেলুয়াবাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জানাযার পূর্বে মফিজ উদ্দিনের আত্মীয়-স্বজন গোরস্থানে উপস্থিত হয়ে বলেন, জানাজার সময় নির্ধারণ কার হুকুমে করেছেন বলে মফিজ উদ্দিনের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। সে সময় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মঈনুদ্দিন নামে একজন দন্দ না করে মাটি হওয়ার পরে বসে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান করার কথা বলেন।
মঈনুদ্দিনের এই কথার জেরে সেখানে উপস্থিত খাইরুল ইসলাম পূর্ব শত্রুতার কারনে তঁার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এখানে কথা তুই কে বলে মারপিট শুরু করেন এবং অন্যনাদের মারতে হুকুম দেন। মারপিটের ঘটনায় ৫ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- দেলুয়াবাড়ী গ্রামের মইনুদ্দিন, সরোয়ার, নওশাদ, আলাউদ্দিন, ও কামরুল ইসলাম। এদের মধ্যে সরোয়ার ও নওশাদ গুরুতর আহত বলে আত্মীয় ও মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে।
এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন দেলুয়াবাড়ি কবরস্থানে খাইরুল ইসলাম, মমিন, মাইনুল, কাজল, ফজলু, হাবিবুর রহমান, আব্দুর রহিম ও হাসিব মৃতের জানাযার সময় নির্ধারণকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার যের ধরে দেশীয় অস্ত্র লোহার হাতুড়ি, বঁাশের লাঠি-সোটা রড নিয়ে বেআইনি ভাবে দলবদ্ধ হয়ে খায়রুল ইসলামের হুকুমে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান ও রায়হান হাজীকে এলোপাথাড়ী ভাবে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এছাড়াও সরাদ্দী ও নইমুদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্য লোহার হাতুড়ি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। নওশাদ আলীকে বঁাশের লাঠির আঘাতে ডান হাতের কব্জি ভেঙ্গে দেয়। আলাউদ্দীনের চোখ বঁাশের লাঠির আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় এবং কামরুলকে বঁাশ দিয়ে আঘাত করে নাক ফাটিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম মাসুদ পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মাললা হয়েছে। খাইরুল ইসলাম নামে একজন আসামীকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।