সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। তখন আমি আহবায়ক ছিলাম।
২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ১ম জাতীয় কাউন্সিলে সভাপতি পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় আমি প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করি।
২০১৫ সালের শেষের দিকে এক সাধারণ সভায় রাজশাহীর আব্দুল মুগনী নীরো সাহেব সভাপতি এবং আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই।
২০১৬ সালে কমিটির মেয়াদ শেষ হলে ওই বছরের ৩০ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক কাউন্সিলে শহীদুল ইসলাম পাইলট সভাপতি ও আমি পূনরায় সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই।
১২১ সদস্যের পূর্নাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০ জুলাই দৈনিক বাংলাস্থ হোটেল রহমানিয়া ইন্টারন্যাশনাল হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় ঘোষণা করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার সাংবাদিকরা অংশ নেন।
এই কমিটির মেয়াদ আগামি ৩০ জুলাই শেষের দু’দিন আগেই অর্থাৎ ২৮ জুলাই ৩য় কাউন্সিলের দিনক্ষন ঘোষণা করা হয়। কাউন্সিল উপলক্ষে গত ৩০ জুন জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন মোঘল হোটেল দরবার হলে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সংগঠনের স্থায়ী কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলা/উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুমোদন সহ কাউন্সিল অনুষ্ঠান সম্পন্নের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
“ওই বৈঠকে কিছু বিপদগামি সদস্য অংশ না নিয়ে সংগঠনের বৃহৎ স্বার্থ সাংবাদিকদের জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি এবং ১৪ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনকে নসাৎ করতে নীল নকশা আঁকে”।
এর মাঝে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করে ২৩ জুলাই মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ধার্য্য করেন।
নির্ধারিত তারিখের মাঝে মনোনয়নপত্র ক্রয় না-করে, সংগঠনবিরোধী বিপদগামি ২/৩ জন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আমি আহমেদ আবু জাফর সহ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য কমেন্টস করেন। সংগঠনের সহ-সভাপতি আবুল তালুকদার,নবাগত আবুল কালাম আজাদ, কামাল নামের একজন এবং ফেনীর সিআ মামুন।
নির্বাচন কমিশন তাদের জন্য আরো ২ দিন বাড়িয়ে দেন। তার পরেও তারা মনোনয়নপত্র গ্রহন না করে টালবাহানা করে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করেন। এতে সংগঠন ও নেতৃবৃন্দকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
এরা বিভিন্ন জেলা/উপজেলা নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে সংগঠন বিরোধী কথাবার্তা প্রকাশ করে। তথ্য প্রমানে উল্লেখিত চারজনের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড প্রমানিত হওয়ায় গত ২৫ জুলাই পুরানা পল্টনস্থ ইব্রাহিম ম্যানশন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বৈঠকে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
বৈঠকে বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ও ফোনে গুরুত্বপূর্ন পদধারীরা একমত পোষণ করেন।ফলশ্রুতিতে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়।
ইতিমধ্যে তারা সংগঠনকে দ্বিখন্ডিত করার কুটকৌশল বাস্তবায়নের অশুভ চক্রান্তের বীজে ফসলের আশা করছে।স্পষ্ট ভাষায় তাদের বলতে চায়, তা কখনো সম্ভব নয়। বিএমএসএফ তার নিজস্ব গতিতে পথ চলছে।
সম্প্রতি নাম এবং লোগো রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া আমাদের সম্পন্ন। এই নামে বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিতীয় কোন সংগঠন চলতে পারেনা এবং পারবেওনা।”ইনশাআল্লাহ” দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত বিএমএসএফ’র সৈনিকেরা এবং এদেশের সাংবাদিকরা।
আগামি ২৮ জুলাই শনিবার বিকাল ৩টায় সাংবাদিকদের প্রাণের সংগঠন বিএমএসএফ’র কাউন্সিল। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে। আপনিও আমন্ত্রিত।
আমরা চাই সাংবাদিকদের মাঝে জাতীয় ঐক্য তৈরী করতে-বিভক্তি নয়। বিএমএসএফকে কখনো কুক্ষিগত সংগঠনে রুপ দিতে চাইনি।
আমি আহমেদ আবু জাফর প্রথম আহবায়ক।দ্বিতীয় বারে প্রধান সমন্বয়কারী। তৃতীয় বারের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক এবং এখন আবার সাধারন সম্পাদক প্রার্থী।
ওপেন কাউন্সিল! সব প্রস্তুত! শুধু ছিল খেলোয়ারের অভাব! সাহস থাকলে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে যোগ্যতা প্রমান করতেন। আবুল তালুকদার/আবুল কালাম আজাদ আপনারা পরাজয় জেনে ভিন্নপদ অবলম্বন করেছেন। মফস্বল সাংবাদিকরা আপনাদের কাছ থেকে কি আশা করতে পারে।
আহমেদ আবু জাফর
প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক
বিএমএসএফ
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com