মহামারী করোনার কারণে বন্ধ ছিল সব চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া। বর্তমানে কিছু কিছু চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে; যা এখন চাকরিপ্রত্যাশীদের মনে একটু আশার সঞ্চার সৃষ্টি করছে। বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানে যদিও কর্মী ছাঁটাই চলেছে, তারপরওঅনেক প্রতিষ্ঠান চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রদানের কাজ শুরু করছে। আরও বেশ কিছু চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অপেক্ষায়। ফলে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যে কালো মেঘ ছিল তা কাটতে শুরু করছে। আস্তে আস্তে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও অতীতের চেয়ে তা এখনও ১৫-২০ শতাংশ কম। আগামী মাসের মধ্যেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।করোনার কারণে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদগুলো পূরণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।এজন্য আদর্শ ছাত্র বন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তরগুলো নির্দেশনা পাওয়ার পর ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে প্রধানত বিসিএস ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদের জন্য লোকবলও নিয়োগ দেয় সরকার। এসব পদে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে চূড়ান্ত চাকরি পাওয়া পর্যন্ত প্রায় দুই থেকে তিন বছর বা তার চেয়েবেশি সময়ও লেগে যায়। চেয়ারম্যান দীর্ঘ প্রক্রিয়া আরও সহজ করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি। নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও চাকরিপ্রত্যাশীদের দীর্ঘদিনের দাবি, আবেদনের বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেখতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও কার্যত কোনো অগ্রগতি নেই। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে অনেক দিন ধরে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা দাবি জানিয়ে আসছে। এ ছাড়া এই দাবিতে কোনো এক সময় ছাত্র সংগঠন মানববন্ধনও করে। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করলে সকল ছাত্র-ছাত্রী মনে করছে যে তারা নতুন একটি জীবন ফিরে পাবে।তাই আমি ক্ষুদ্র কলাম লেখক কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি দাবিটা প্রাসঙ্গিক এবং যৌক্তিক। কারন মহামারী করোনার জন্য চাকরির বিজ্ঞপ্তি ছিল না এবং অনেক চাকরি প্রার্থীদের আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। শুধু তাদের কথাই বলছি না। সব শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের ওপর করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন কিন্তু প্রলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।করোনাকালীন সময়কে ট্রানজিশন পিরিয়ড হিসেবে চিন্তা করে সরকারি চাকরির আবেদনের বয়স ৩৫ করা হোক। কারণ সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং এটি সময়োচিত সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করছি। উল্লেখ্য, বিশ্বের অনেক দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৫৫ বছর পর্যন্ত রয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও ৫৯ বছর পর্যন্ত। এ ছাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০শ্রীলঙ্কায় ৪৫, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫, ইতালিতে ৩৫, ফ্রান্সে ৪০। এমনকি অনেক দেশে আগ্রহী ব্যক্তিরা অবসর গ্রহণের ঠিক আগের দিনও সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে পারেন। তবে আমরা কেন পারব না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি বাস্তবায়ন করবেন বলে এমনটি আশা করছে সকল ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ।
লেখকঃকবির নেওয়াজ রাজ
সাধারণ সম্পাদক,কেন্দ্রীয় কমিটি
আদর্শ ছাত্র বন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
razbusinessfile@gmail.com
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com