শাবাশ, শাবাশ......
উইকেটের পিছন থেকে কিপার মুশফিকুর রহিম যখন জোরে জোরে বলেন "শাবাশ শাবাশ" "এটা ভালো ছিলো"। তখন প্রশ্ন জাগে "শাবাশ" কেন বলি? কেউ ভালো কোন কাজ করলে, তাঁর প্রশংসা করার জন্য কিংবা উৎসাহ দিতে আমরা" শাবাশ, শাবাশ" বলি। এই প্রশংসা সূচক কিংবা উৎসাহ বাচক শব্দটির উৎস কি?
যতদূর জানা যায়, এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে পারস্যের শাসক শাহ আব্বাসের (১ম) এর নাম, যিনি Abbas the great নামেও পরিচিত। তাঁর শাসনামলে "ইস্পাহান" শহরকে তৎকালিন সময়ে বিশ্বের সুন্দর শহরে পরিনত করেন, অসংখ্য সুন্দর মসজিদ,বাগিচা, স্থাপনা নির্মান করেন এবং ইস্পাহান শহরে পারস্যের রাজধানী স্থাপন করেন। তাঁর শাসনামলে পারস্য শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা সর্বত্রই সাফল্যের শিখরে পৌছায়। তাঁর ভালো কাজের সংখ্যা এতই বেশী যে, কেউ কোন ভালো কাজ করলে লোকজন তাকে উৎসাহ দেবার জন্য বলা শুরু করে " কাজটা শাহ আব্বাসের মতো হয়েছে" কিংবা "শাহ আব্বাস", "শাহ আব্বাস" ধ্বনি দিতো। সেখান থেকেই ভালো কাজে উৎসাহ কিংবা প্রশংসার জন্য শাবাশ, শাবাশ বলার প্রচলন... পারস্য থেকে শব্দটি এই অঞ্চলে হিন্দী উর্দূ বাংলা ভাষায় প্রচলনের নেপথ্য কারন আমাদের সবারই জানা.....
প্রথম আব্বাস (ফার্সি: شاه عباس بزرگ; শ আব্বসে বোযোর্গ) ( ২৭শে জানুয়ারি ১৫৭১– ১৯ জানুয়ারি ১৬২৯) যিনি মহান আব্বাস নামেও পরিচিত, ১৫৮৭ থেকে ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পারস্যের শাহ ছিলেন। তিনি তার পিতা শাহ মোহাম্মদ খোদাবন্দের পরে সাফাভি রাজবংশের ৫ম শাহ হিসেবে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পারস্যের শাসনভার গ্রহণ করেন। আব্বাসকে সবচেয়ে শক্তিশালী সাফাভি রাজা হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি পারস্য থেকে উসমানীয় ও উজবেক সৈন্যদের বিতাড়িত করে এবং একটি সদাপ্রস্তুত সেনাবাহিনী গঠন করে পারস্যে সাফাভি রাজবংশের কর্তৃত্ব সুসংহত করেন। আব্বাস এসফাহন শহরকে তার রাজধানী বানান। তার শাসনামলে এসফাহন (ইস্পাহান) বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর একটি শহরে পরিণত হয়।
ছবিতে : শাহ আব্বাস(১ম) এবং মসজিদ ই আব্বাস, ইস্পাহান (পারস্য প্রদেশের রাজধানী ও ইরানে ২য় বৃহত্তম শহর)
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুুর রহমান।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com