মোঃ শামীম আহমেদ, জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী: বরিশাল বিভাগের আলোকিত কৃর্তি সন্তান. দক্ষিণবঙ্গের জননন্দিত কিংবদন্তি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ. সাবেক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং পটুয়াখালী-৩ আসনের চারবারের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী. বরিশাল বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সমন্বয়কারী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।
-------জননেতা জনাব আ. খ. ম জাহাঙ্গীর হোসাইন
তথ্য--জাহিদুল ইসলাম মামুন (প্রকাশক ও সম্পাদক)
"বরিশাল বিভাগ তথ্য হ্যালো গাইড"-২০২১
জনাব আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন ১৯৫৪ সালে ১৮ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের চরচন্দ্র আইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন গলাচিপায়। গলাচিপা মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে দক্ষিণ অঞ্চলে নবম সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি ছিলেন প্রথম সারির একজন লড়াকু সৈনিক।
তিনি ১৯৮১-৮৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যাঁরা চরম দুঃসময়ে উঠে এসেছেন তিনি তাঁদেরই একজন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় রাজপথে তাঁর সাহসী ভূমিকার কথা জাতির কাছে স্বরনীয় হয়ে থাকবে চিরকাল।
তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা )সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী মনোনয়ন নিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী মনোনয়ন নিয়ে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বলা যায় স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনটি আওয়ামী লীগের হয়ে আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এর দখলে রেখেছিলেন।
তিনি ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রীসভায় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দায়ত্ব পান। ২০০১ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এমপি ও মন্ত্রী থাকাকালে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় অনেক সরকারি উন্নয়ন করেছেন। এবং নিজ অর্থায়নে জনস্বার্থে করেছেন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি এলাকার উন্নয়নে ছিলেন সবসময়ই নিবেদিত।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন। বরিশাল বিভাগীয় আওয়ামী লীগের অন্যতম সমন্বয়কারী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন।
তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শীত একজন সৎ নিবেদিত সাহসী জাতীয় নেতা।
তিনি গলাচিপা-দশমিনা উপজেলায় হাজার হাজার মুজিব আদর্শে আদশির্ত কর্মী তৈরি করে গেছেন।
মরণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ২০২০ সালে ২৪ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় সময় শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।
তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে আছেন। তাঁর সুযোগ্য পুত্র জনাব আ স ম জাওয়াদ সুজন।
আমরা এই জাতীয় গুনি কর্মবীর মহান নেতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
"বরিশাল বিভাগ তথ্য হ্যালো গাইড"-২০২১