বাগেরহাটের মোল্লাহাটের শাসন গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় চুনখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ভাই এর হত্যাকান্ডের জেরে বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলার বাদীকে হুমকী-ধামকী দিচ্ছেন ভাংচুর কারীরা। একের পর এক হুমকীতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদী ও তার পরিবার। অন্যদিকে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এ ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে রজ্জব আলী শেখের স্ত্রী তানছিমা বেগম ও আমদ শেখের স্ত্রী রাহেলা বেগম বাগেরহাটের পুলিশ সুপার বরাবর পৃথকভাবে লিখিত আদেবন করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, ২৪ এপ্রিল গভীর রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন শেখ আজাদ শিকদার, দুলাল শেখ, ইখলাস শেখ, রেন্টু সিকদার, জাহিদ শরীফ, ইমদাদ মোল্লা, জাহিদ মোল্লা, মাসুম চৌধুরী, জানিক চৌধুরীসহ ৩০-৪০ জন লোক নিয়ে শাসন গ্রামের আবেদ আহম্মদ আলী শেখ ও রজব আলী শেখের বাড়িঘর ভাংচুর ও ঘরের মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় ২৩ জনকে আসামী করে মোল্লাহাট থানায় মামলা করে ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবার ।
মামলার আসামী দুলাল শেখ, মামুন শেখ, ইমদাদ মোল্লা, ফারুক শরীফ, মগরব শরীফ এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের আটক করছে না। বরং আসামীরা আমাদের হুমকী ধামকী দিচ্ছে। এরই মধ্যে ২৮ এপ্রিল মামুন শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আহম্মদ আলী শেখ এর ক্ষেতের ধান লুট করে নিয়ে যায়। ৩০ এপ্রিল আসামীরা রজত আলী শেখ এর ক্ষেতের ধান কেটে নিয়ে যায়। মামুন শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবে আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ অবস্থায় আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ওই দুই নারী।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এই হত্যাকে পুজি করে ইউনিয়ন পরিষদের সাধারন মানুষের নামে মিথ্যা মামলাসহ শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুট করা হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য চেয়ারম্যান মুন্সী তানজিল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান মুন্সী তানজিল হোসেন হত্যা কান্ডে জড়িত নয়। রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি করার জন্য তানজিল মুন্সী এবং আকাশ মুন্সী কে যড়ষন্ত্র মুলক আসামি করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হামলার সময় ঘটনাস্থলে না থাকলেও আসামী হয়েছে। তাকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি করার জন্য হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, মোল্লাহাটের শাসন গ্রামে ভাংচুরের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। খুব দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।