রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি: বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার সহায়তা প্রদানের নগদ টাকা তুলতে গিয়ে স্থানীয় বিকাশ বা নগদ এজেন্টে দোকানদার হাতে প্রতারণা স্বীকার হয়েছে বলে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা গেছে চলতি মাসে ৭/৯ মে প্রধানমন্ত্রী পাঠানো বিশেষ উপহার ২৫০০ টাকা দু:স্থ ও গরীবের মোবাইল একাউন্টের চলে আসে। পরে উপকার ভোগীরা ওই টাকা পেয়ে খুশির মনে স্থানীয় নগদ এজেন্টের দোকানে গেলে এজেন্টরা সুকৌশলে নিজস্ব মোবাইল নম্বরে ট্রানজেশন করে নিয়ে যায়। পরে উপকার ভোগিকে বলে দেন মোবাইলে টাকা আসেনি। টাকা আসেননি খবর শুনে হতাশ হয়ে খালি হাতে বাড়িতে ফিরে যান। এতে শুরু হয় সরকারের বিরুদ্ধে করা সমালোচনা। এব্যাপারে সংবাদ পেয়ে উপকার ভোগিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বে ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা আত্নসাত ও প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে। রোয়াংছড়ি কলেজের প্রভাষক উপকার ভোগি মংচসিং মারমা বলেন গত বছরের ন্যায় এ বছরও চলতি মাসে ৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উপহার সহয়তা টাকাটা চলে আসছে আমার মোবাইলে। ওই টাকার চলে আসার পর তুলতে স্থানীয় বিকাশ বা নগদের এজেন্টের দোকানে আমার স্ত্রীকে পাঠায়। এতে দোকানদারা আমার স্ত্রীর হাত থেকে মোবাইল নিয়ে টাকাগুলো এজেন্টরা নিজ মোবাইল নম্বরে নিয়ে যায়। পরে টাকা আসেনি বলে ছেড়ে দেন। পরে আমি কয়েকবার যোগাযোগ করছি টাকা পায়নি। পরে সাংবাদিকদের সাহাযে টাকাটি ওই দোকান থেকে পাওয়া গেছে। দুর্গম পাহাড়ের মহেন্দ্র পাড়া বাসিন্দা জৈতরাম ত্রিপুরা সংবাদকর্মীকে বলেন গত বছরের ন্যায় এ বছরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার টাকা মোবাইলে পেয়ে খুশির মনে টাকা তুলতে রোয়াংছড়ি বাজারে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ বা নগদ এজেন্ট দোকানে আসছি। টাকাটি তুলতে গিয়ে বিকাশ এজেন্ট গুরাঙ্গ সেনের ছেলে রুবেল সেন নামে ব্যক্তি কৌশলে টাকাটা তুলে নিয়ে যায়। পরে আমাকে বলেন টাকা আসেনি। আমি ওই কথা শুনে হতভম্ব হয়ে আরেকটি বাবুল তঞ্চঙ্গ্যা দোকানে গেলে তিনি আগে যাওয়ার দোকানে পাঠান। ওই কথা শুনে ফের চলে আসি আগের দোকানে। তখন রুবেল বলেন ৫০ টাকা রিচার্জ করতে হবে বলে তিনি রিচার্জ করে বলেন টাকা আসেনি। পরে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়ার পর তারা উদ্ধার করে দেন। তাই এসব কর্মকান্ডকে বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি সহায়তা কামনা করছি। এব্যাপারে এজেন্ট রুবেল সেনকে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। প্রমাণ দেওয়ার পরে ওই টাকাটা মালিকে ফেরত দেন। এখবর শুনে স্থানীয়রা বলেন এধরণে চক্রকে আইনে আওতায় না আনলে অচিরে আরো হতে পারে।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com