সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়াই স্থানীয় স্বার্থান্বেসী নেতৃত্বে স্থানীয় একটি মহলের পরামর্শে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
বাঁধা না পড়লে কয়েক দিনের মধ্যেই জলাশয়টির মধ্যে ড্রেজারের বালি পড়বে বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউএনও অফিসের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের
জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন সুবিধা ভোগিদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন বলে জানান ওই জলাশয়ের
লিজধারী দখলদার আওলাদ মাঝিা। আওলাদ আরো বলেন অটোস্ট্যান্ড ও শিশুপার্ক
নির্মাণের নামে জলাশয়টি ভরাট করে ভাগ বাটোয়ারা হয়ে দখল হয়ে যাবে। জলাশয়টি ভরাট না করার দাবী জানিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর নিকট
বুধবার আবেদন করেছে স্থানীয় শতাধিক বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা সদর সংলগ্ন টঙ্গীবাড়ী মৌজার ১নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭ নং দাগের ৭৭ শতাংশ সরকারি ৭০০ ফুট লম্বা, ৪০ ফুট প্রসস্থ ও ১৫ ফুট গভীর জলাশয়টির চারিপার দিয়ে মালিকানা ভূমির ওপর কাচা বাড়ি ও বহুতল
ভবন নির্মাণ করে শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছে। জলাশয়ের পাশ দিয়ে
ঢাকা-টঙ্গীবাড়ী মহাসড়কের পাশে মালিকানা ভূমিতে ১০টি পাকা মার্কেটে
বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এলাকাবাসি জানিয়েছে গভীর
সরকারি জলাশয়টি ছাড়া ১ কিলোমিটার এলাকায় আর কোন পুকুর ডোবা
নেই পানি সংগ্রহ করার মতো। এছাড়া জলাশয়টি ভরাট করে অটোস্টেন ও
শিশুপার্ক করলে পরিবেশ নষ্ট হয়ে জনবসতি বিঘœ ঘটবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও
বাসিন্দা আজিজ মাঝি, আওলাদ মাঝি, সাফয়িা বেগম, জসীম শেখ, উজ্জল,
রুমু, বাবুল শেখ ও জামাল হালদারসহ শতাধিক ব্যক্তি জানান জলাশয় ভরাট করে রকম
পরিবর্তন করলে পরিবেশ নষ্ট হয়ে স্থানীয়দের ব্যবসা ও বসবাসে চরম বিপর্যয়
নেমে আসবে। পথে বসবে ৫০ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী। ইতোমধ্যেই রাস্তার
পাশে জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়ে লেপ তোষক, ফ্রিজ মেরামত, গ্রিল নির্মাণ,
ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, মিষ্টির দোকানী, পুড়ান লোহা,টিন ও রিক্সা সাইকেলের
পার্স বিক্রয়ের দোকানদাররা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তারা জানিয়েছে জলাশয়টি
ভরাট করে রাস্তার পাশ থেকে দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হলে তাদের পরিবার না খেয়ে
মরবে। জলাশয়ের পূর্ব ও উত্তর পারের বাসিন্দা আওলাদ মাঝি ও বাবুল শেখ জানান, জলাশয়ে সরকারি ৭৭ শতাংশের সাথে যোগ হয়ে তাদের মালিকানা জায়গা
রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সরকারি ও মালিকানা মিলিয়ে প্রায় ৯০
শতাংশের অধিক এই জলাশয়ে দেশী প্রজাতির মাছ ও কচুরিপণা ১২ মাসই
থাকে। টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভিন জানিয়েছেন
যানজট এড়াতে অটোস্ট্যান্ড করার দাবী স্থানীয়দের রয়েছে। পাশাপাশি শিশুপার্ক
করতে জলাশয়টি ভরাট করার উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।