রাজশাহী ব্যুরোঃ সাধারণ জনগণ এবং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সহ বিভিন্ন পেশাজীবি কোভিড আক্রান্ত রোগীদের আরএমপি’র পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে অক্সিজেন দেওয়ার লক্ষে আজ আরএমপিতে ৫০(পঞ্চাশ)টি অক্সিজেন সিলিল্ডার দিয়ে গঠন হলো “পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক”। অচিরেই এ সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত হবে।
হাসপাতালে অক্সিজেন অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেক সময় অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দেয়। এর পাশাপাশি অনেকের বাসা বাড়ীতে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন কারণে তারা অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারে না। এ সব দিক বিবেচনায় মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক, পুলিশ কমিশনার, আরএমপি, রাজশাহীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানবিক চিন্তাধারা প্রসূত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আরএমপি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
১৫ জুন মঙ্গলবার বেলা ১২.০০ টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে “পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক”এর উদ্বোধন করেন।
আরএমপি’র সদরদপ্তর, শাহমখদুম থানা প্রাঙ্গনে পুলিশ কমিশনার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণের মতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ-এ আক্রান্ত রোগীদের প্রথম থেকেই শ্বাস কষ্টে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এ সংকট থেকে সাধারণ জনগণ এবং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সহ বিভিন্ন পেশাজীবি কোভিড আক্রান্ত রোগীদের আরএমপি’র পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে অক্সিজেন দেওয়ার লক্ষে আরএমপিতে ৫০(পঞ্চাশ)টি অক্সিজেন সিলিল্ডার দিয়ে এ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হলো। দুই-এক দিনের মধ্যেই এ সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুসারে আরো অক্সিজেন সিলিন্ডার সংযোজন করা হবে ।
পুলিশ কমিশনার তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাপসাতাল ব্যতীত রাজশাহী’র অন্যান্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে সেন্ট্রাল অক্সিজেন নেই। হাসপাতালে অক্সিজেন সিস্টেম চালু করতে সময় লাগবে অন্তত পক্ষে ২ থেকে ৩ মাস।
কোভিড আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে কেউ ভুগছেন এমন সংবাদ আরএমপি’র কন্ট্রোল রুম মোবাঃ নং-০১৩২০-০৬৩৯৯৮-এ জানালে আরএমপ ‘র পক্ষ থেকে বাড়ীতে গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছা প্রণোদিতভাবে এ সেবা সম্পূর্নরূপে বিনা মূল্যে প্রদান করা হবে বলে পুলিশ কমিশনার তাঁর বক্তব্যে উল্ল্যেখ করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মোঃ সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোঃ মজিদ আলী বিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ রশীদুল হাসান পিপিএম ও উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মোঃ সাজিদ হোসেন সহ আরএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, কনস্টবল, এএসআই, এসআই ও ইন্সপেক্টর পদের ১০ জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে এ অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার, সিলিন্ডার স্পিড মাত্রা নির্ধারণ, রিফিল ইত্যাদি রপ্ত করানো হয়েছে। তাদের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ট্রেনিং দেয়া হবে। যেকোন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণও আরএমপি’র এ ট্রেনিং বিনা খরচে গ্রহণ করতে পারবেন।