পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীর মান রাখলেন পশ্চিম বাংলার বিধান সভার অধ্যক্ষ শ্রী বিমান ব্যানার্জী। গত বিধান সভা নির্বাচন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী জোটের একমাত্র প্রাথী যিনি পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড় কেন্দ্র থেকে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু বিধান সভায় শপথ গ্রহণ নেবার পর পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী কে পশ্চিম বাংলার বিধান সভার, ৪২,সরকারি, কমিটি তে ঠাই না দেওয়া জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার পর বিষটি পশ্চিম বাংলার বিধান সভার অধ্যক্ষ শ্রী বিমান ব্যানার্জীর নজর এ পড়ে। আজ বিধান সভা থেকে ঘোষণা করা হয়েছে পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী তার বিধান সভা এলাকার ভাঙড় কেন্দ্র ডেভলাপমেন্ট অথরিটি বোর্ড এর চেয়্যারম্যান হিসেবে কাজ করবেন। এবং তার নেতৃত্বে ভাঙড় কেন্দ্র ডেভলাপমেন্ট অথরিটি বোর্ড সব কাজ পরিচালনা হবে। ভাঙড় কেন্দ্রের সব উন্নয়ন কাজের তদারকি করবেন। এই দায়িত্ব দেওয়ার পর ভাঙড় কেন্দ্রের বিধায়ক ও পশ্চিম বাংলার ফুরফুরা শরিফ এর পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী খুশি হয়েছে। তার দাবি পশ্চিম বাংলা বিধান সভার অধ্যক্ষ শ্রী বিমান ব্যানার্জী যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার জন্য দিয়েছেন তা পালন করার চেষ্টা করবেন। সেই সঙ্গে পিছিয়ে পড়া ভাঙড় কেন্দ্রের উন্নয়ন করবেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে বিধান সভার বিভিন্ন কমিটিতে যখন অন্যান্য বিরোধী দলের বিধায়কদের স্হান করে দেওয়া হয় তখন পশ্চিম বাংলার বিধান সভার জোটের একমাত্র প্রাথী ফুরফুরা শরিফ এর পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী কে কোন কমিটিতে না রাখার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বর্তমানে পশ্চিম বাংলার বিধান সভার বিধায়কদের বেতন সবমিলিয়ে আশি হাজার টাকা। সেই সঙ্গে প্রতি বিধান সভার মিটিং যোগ দিলে আরও দুই হাজার টাকা পান খরচ হিসেবে। পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীর যা বেতন তা দিয়ে একটি বিধান সভা কেন্দ্র উন্নয়ন করা যায় না। তাই তিনি নিজের ভাঙড় কেন্দ্রের উন্নয়ন জন্য বেশি সময় ও কাজ করতে আরও টাকার দরকার। শেষে পশ্চিম বাংলার বিধান সভার অধ্যক্ষ শ্রী বিমান ব্যানার্জী তাকে মর্যাদা দিয়ে ভাঙড় কেন্দ্রের উন্নয়ন বোর্ড চেয়্যারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য দিয়েছেন।। ভারতের কলকাতা শহর থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।