পটুয়াখালি সদর উপজেলা প্রতিনিধি: মোঃ সালাউদ্দিন রুবেল।
পটুয়াখালী বিভিন্ন ফার্মেসীগুলোতে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ এর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এই ঔষধ কিনতে না পারায় দূর্ভোগে পড়ছেন রোগীরা।
এ বিষয়ে ফার্মেসী মালিকরা জানান, চাহিদা অনুযায়ী ঔষধ সরবরাহ নেই বলে তারা বিক্রি করতে পারছেন না। এদিকে জেলায় দিনদিন করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সংক্রমণের হার ৪০ দশমিক ৪২ ভাগ। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে রোগীর চাপ সেই সঙ্গে বাড়ছে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ এর চাহিদা। এতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি সাধারণ রোগীরা চাহিদা অনুযায়ী নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, এইচ প্লাস, নাপা সিরাপ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে পটুয়াখালী জেলার ফার্মেসীগুলোতে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চাহিদা অনুযায়ী প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সরবরাহ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মাদার বুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সবুজ মিয়া বলেন, আমার রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে।সকালে জ্বরের ওষুধ নাপার জন্য হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিতে যাই। পাঁচটি ফার্মেসি ঘুরে তারপরে ওষুধ পেয়েছি। তাও আবার দাম বেশি রেখেছে।
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে জামাল ফার্মেসির মালিক জামাল জানান, হঠাৎ করে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে জ্বরের ওষুধের চাহিদা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। এতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সময় নাপা ও এইস ট্যাবলেট ও সিরাপের সরবরাহ না থাকলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।
নতুন বাজার এলাকার সোনালি মেডিক্যাল হলের মালিক মলয় কুমার কর্মকার বলেন, বর্তমানে যার এক পাতা প্যারাসিটামল ওষুধ এর প্রয়োজন সে ১০ পাতা ওষুধ কিনছে। প্যারাসিটামল ওষুধ সংকট দেখা দেওয়ার এটারও একটা মূল কারণ। যাদের প্রয়োজন নেই তারাও ওষুধ কিনে ঘরে রেখে দিয়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বিষয়টা আমি শুনেছি কিন্তু ওষুধ সংকট হওয়ার কোনও কারণ দেখছি না। এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখবো।
সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, আমাদের সরকারি ওষুধের কোনও সংকট নেই। কেন ফার্মেসিতে ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে সে বিষয়ে ড্রাগ সুপার ভালো বলতে পারবেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, কোনও ফার্মেসি এই ওষুধগুলোর কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে এবং বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।