অবশেষে, বঙ্গোপসাগরের তলিয়ে যাওয়া হৈমবতী ট্রলার কে উদ্ধার, সঙ্গে, ৯,মৃত, মৎস্যজীবীকে। নিখোঁজ এক। গত বুধবার গভীর সমুদ্র এ মাছ ধরতে যাওয়ার সময় গভীর সাগরের তীরে হাতানিয়া ও দোয়ানিয়া নদীর কাছে বকখালির রক্তেশ্বরী চড়ের কাছে প্রচন্ড ঢৈউয়ের আঘাতে হৈমবতী ট্রলার, ১২,জন, মৎস্যজীবীকে নিয়ে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে দুই জন কোন রকম ভাবে সাতরে উপরে উঠে আসে। বাকি দশ জন তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। শুরু হয় তল্লাশি। ভারতের নৌবাহিনীর সদস্যরা এবং পশ্চিম বাংলা সরকার এর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা এবং সুন্দর বন পুলিশ প্রশাসন নিখোঁজ ধীবরদের খোঁজ এ গভীর সমুদ্র বন্দর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যান। গতকাল গভীর রাতে নিখোঁজ দশজনের মধ্যে নয়জন কে সাগর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ভারতের নৌবাহিনীর সদস্যরা। এখনো নিখোঁজ একজনের খোঁজ এ গভীর সাগরের উপকূল এ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে ভারতের নৌবাহিনীর সদস্যরা। ঘটনা স্হানে ছুটে আসেন পশ্চিম বঙ্গ সরকারের সুন্দর বন উন্নয়ন মন্ত্রী ও স্হানীয় সাগরের বিধায়ক শ্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এবং সুন্দর বন পুলিশ সুপার ও কাকদ্বীপ মহাকুমা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। গত তিন দিন ধরে মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবার পরিজন রা রাতের ঘুম ভেঙে জড়ো হয় হাতানিয়া ও দোয়ানিয়া নদীর তীরে। আজ উদ্ধার করা মৃত মৎস্যজীবীদের কাকদ্বীপ মহাকুমার তেহদুলিয়া হাসপাতালে ময়না তদন্ত এর জন্য পাঠানো হয়েছে। গত কাল থেকে কোন ধীবর গভীর সাগরে মাছ ধরতে যেতে চাইছে না বলে জানান কাকদ্বীপ মহাকুমা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শ্রী বিজন মাইতি। পশ্চিম বঙ্গ সরকারের সুন্দর বন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান মৃত মৎস্যজীবীদের রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান। এবং তিনি নিজে থেকেই উদ্ধার কাজে তদারকি করছেন।। কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com