উজ্জ্বল রায় (নড়াইল জেলা) প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের নড়াগাতী থানায় ৫ম শ্রেনী পড়–য়া শিশুকে (১১) ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে নুর মোল্যা (৪৫) নামে এক লম্পটের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ০৬। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে এবং কঠিন বিচারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। আসামী পলাতক রয়েছে। শিশুটি থানার মুলখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ৮ আগষ্ট (রোববার) সকাল ৭ টায় এ ঘটনা ঘটে। নুর মোল্যা বাঐসোনা গ্রামের মৃত লাল মিয়া মোল্যার ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঐসোনা ব্রীজঘাটে খুব ভোরে বাজার বসে। ওই বাজারে পাশ্ববর্তী গ্রাম তেবাড়িয়া থেকে তাল বিক্রি করতে আসে ওই শিশুটি। আর তার উপরে নজর পড়ে লম্পট নূর মোল্যার। তাল কেনার কথা বলে শিশুটিকে ডেকে বাজারের পাশে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওইসময় নূরের স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে সে শিশুটিকে জোর করে ঘরের মধ্যে নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের চেষ্টা কালে কৌশলে শিশুটি দৌড়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসে এবং বাজারের লোকদের জানায়। ঘটনাচক্রে বাঐসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফুরকান মোল্যও ওই বাজারে ছিলেন। সমস্ত ঘটনা শুনে তিনি ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নিতে থানায় পাঠিয়ে দেন। ততক্ষনে লম্পট নুর মোল্যা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ নূর মোল্যাকে আটককের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আবুল কাশেম বলেন, ব্রীজঘাট বাজারে আমার দোকান আছে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমি ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত জেনে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসি।
ওই বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, নুর মোল্যা ব্যাক্তি হিসাবে জঘন্য প্রকৃতির ও কুরুচি সম্পন্ন লোক। কয়েকমাস পুর্বে সে নলামারা গ্রামের আবু হারা নামে এক ব্যক্তির ১০ মাসের গাভীন গরুর গোপনাঙ্গের ভিতরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাচ্চাটিকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় স্থাণীয় শালিসে তাকে ৭৫ হাজার টাকাজরিমানা করা হয়েছিল।
শিশুটির বাবা জানান, আমরা গরীব মানুষ, ইজ্জতই আমাদের একমাত্র সম্বল। আমার শিশু মেয়ের শ্লীলতা হানি ও ধর্ষন চেষ্টার উচিৎ বিচার চাই।
আসামী নুর মোল্যা পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার পরিবারের কাছে আসামীর মোবাইল নম্বর চাইলে নানা অজুহাতে তারা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে নড়াইলের নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রোকসানা খাতুন জানান, শিশু ধর্ষন চেষ্টার ঘটনায় শিশুর বাবা বাদি হয়ে একজনকে আসামী করে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষন চেষ্টাকারি আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।