আজ আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার সরকার গঠন করতে কাবুল যাচ্ছেন পাক বিদেশমন্ত্রী জনাব মহম্মদ কুরেশি।। ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম। আফগানিস্তানে তালিবান মিলিয়েশিয়ার সরকারের গঠন শুরু হয়ে গেছে। তার মধ্যে আজ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী জনাব মহম্মদ কুরেশি তিনি আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার সরকার গঠন করতে ইতিমধ্যেই চীনের সাথে যোগাযোগ করেন। এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে কথা বলেন আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার সরকার কে সমর্থন করতে। কিন্তু আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার সরকারের সমর্থনে শুধুমাত্র পাকিস্তান ও চীন এবং তুরস্ক এবং রাশিয়া কাতার ছাড়া তেমন কোন দেশ সাড়া দেয়নি। তার মধ্যে আজ আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার সরকার গড়তে হাক্কানী নেতা জনাব আব্দুল ঘানি বরদার কে রাস্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হতে পারে। গতকাল আফগানিস্তানের কান্দাহার বিমান বন্দর এর কাছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই জেনারেল জনাব মহম্মদ হামিদ ফহজের সাথে যুক্ত হয়ে একসাথে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। তাতেই চিন্তার ভাজ পড়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও দিল্লির সাউথ ব্লক। ভারতের চিন্তার একটাই কারণ হল ভারতের বিপক্ষে আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধাদের পাকিস্তান ও চীন সরকার পিছন থেকে ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে চীন ও পাকিস্তান আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কে ভারতের বিরুদ্ধে কাজে ব্যবহার করতে। ইতিমধ্যে ভারত সরকার আফগানিস্তানের সার্বিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের জন্য প্রায় তিন হাজার কোটি মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থা এবং সালমা বাধ এবং আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। কিন্তু এই কাজে এখন বাধা সৃষ্টি করা হবে। এবং চীন ও পাকিস্তান তারা ভারতের এই সব প্রকল্পের কাজ কে আটকে রেখে নিজেদের মতো কাজ করবে। এবং ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান মদতপুষ্ট হাক্কানী ও হিজবুল মুজাহিদ জঙ্গীদের ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবেন ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায়। ভারতের চিন্তার কারণ হল ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এর মধ্যে শীতের সময় যদি আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার হাক্কানী জঙ্গিদের দল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের ভূখণ্ডের কাছাকাছি চলে আসে তাহলে তাদের মোকাবিলা করতে ভারতের বাড়তি সৈন্য পাঠিয়ে দিতে হবে। তাতেই ভারতের সামরিক খাতে বাড়তি খরচ হবে। তবে আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার সরকার গঠনের পর পরিস্তিতি কোন দিকে অগ্রসর হয় তা দেখতে হবে।।