প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০২৪, ১০:০৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২৭, ২০২১, ২:৩১ পি.এম
সোনারগাঁয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল।
বন্যা ও প্রচুর বৃষ্টি ফলে উপজেলার খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর-ডোবা পানিতে ভরে গেছে। এতে জেলেদের জালে দেশি প্রজাতির কই, পুঁটি, টেংরা, টাকি, শিং,মাগুরসহ ইত্যাদি মাছ ব্যাপকভাবে ধরা পড়ছে। অনেকে প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল দিয়ে এসব মাছ ধরছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে কারেন্ট জাল। উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল ও নদনদীতে বর্ষার পানি প্রবেশের শুরু থেকেই এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি কারেন্ট জাল, বাদাই জালসহ নানা ধরনের নিষিদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে মাছ শিকারে মেতে ওঠে। আর মজুদ-বিক্রি ও বহন নিষিদ্ধ জেনেও এক শ্রেণির পাইকারি ব্যবসায়ী কারেন্ট জাল ও বাদাই জাল মজুদ করে বিক্রি করছেন। আর এসব দেখেও না দেখার ভান করছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর । এতে বিলুপ্ত হচ্ছে বিলের দেশীয় প্রজাতির মাছ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার কাইক্কারটেকেরহাট, আনন্দ বাজার হাট, নয়াঁপুর হাট সহ বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারগুলোতে শত শত কেজি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও বাদাই জাল বিক্রি হয়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবী এই জালের ক্রেতা। এ ছাড়াও বেশ কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী কারেন্ট জাল আমদানি করে গোপনে বিক্রি করছেন। এর মধ্যে কারেন্ট জাল বেশি বিক্রি হয় আনন্দবাজার ও কাইক্কারটেকের হাটবাজারে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী কারেন্ট জাল ও বাদাই জাল বিক্রি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তাদের কাছ থেকে কিনে এনে ক্ষুদ্র বিক্রেতারা প্রতিটি হাটবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারেন্ট জাল ব্যবহারকারী বলেন, ছোট-বড় সব ধরনের মাছ কারেন্ট জালে আটকা পড়ে। ফলে এ জাল ব্যবহারের মাধ্যমে সহজেই বেশি মাছ ধরা যায়। এদিকে কম টাকায় এসব জাল বাজারে পাওয়া যায়। তাই জেলেরা এসব জাল বেশি ব্যবহার করছে।
সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, লাইন দিয়ে কারেন্ট জাল কিনছে মানুষ। দোকানদার বস্তার মধ্যে কারেন্ট জাল রেখে তা গোপনে বিক্রি করছেন। এসব কারেন্ট জাল ১৫ থেকে ২০ টাকা হাত দরে বিক্রি হচ্ছে।
সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিয়াসমিন আক্তার জানান, 'সম্প্রতি এসিল্যান্ডকে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে এবং বেশ কিছু কারেন্ট জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে। তবে আরও কিছু এলাকায় কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ মারা হচ্ছে বলে শুনেছি। শিগগিরই সেসব জায়গায় অভিযান চালানো হবে।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail:
mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087,
01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model
Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com