প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ১২:৪৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ১১:৩৪ এ.এম
সোনারগাঁয়ে কচু চাষে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা
মাজহারুল রাসেল : আমাদের সবার কাছেই একটি অতি পরিচিত সবজি, যার নাম কচু। কচুতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, যা মানব দেহের জন্য খুবই দরকারি। তাই দিন দিন কচু চাষের চাহিদা বেড়ে চলছে এর ব্যতিক্রম নয় সোনারগাঁয়ে।
সোনারগাঁও উপজেলার স্বল্প সংখ্যক এলাকায় কচু চাষে স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। দেশের অন্যান্য স্থানের মতোই উপজেলায় কচুর চাষ করে এখন কৃষকরা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অনেকেই আউশ ধানের পরিবর্তে কচুর চাষ শুরু করেছেন। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ও কচুর ফলন ভালো হলে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, বর্ষার সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকায় শুষ্ক মৌসুমে ঝোপঝাড় ও আগাছার জন্য অনেক জমিতে ধান রোপণ সম্ভব হয় না। যদি কেউ কেউ সেই ঝোপঝাড় আর আগাছা পরিস্কার করে চাষ করছেন। কিন্তু তাতে যে ফলন আসছে, তা বিক্রি করে খরচ উঠছে না। তাই চাষিরা বছরের পর বছর ধরে আউশ চাষে লোকসান করছিলেন।
স্থানীয় কচু চাষিরা বলেন, কচুর ক্ষেত থেকে দুই সপ্তাহ পর কচুর লতি তোলা হবে। এর এক মাস পর কচুর ফুল তুলবেন চাষিরা, তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পর কচুর কন্দ তোলার সময় হবে। কচুর চাষ করতে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় না। তাছাড়াও কচুর চাষে তেমন খরচ হয় না।
কৃষক সোহাগ জানান, ৩০ শতক জমিতে কচু চাষ করেছেন তিনি। এতে তাঁর প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফসল পুরোপুরি তুলতে পারলে এক লাখ টাকার বেশি লাভ হবে। তিনি আরো জানান, এলাকার এক জমির মালিকের কাছ থেকে এক মৌসুমের জন্য এক হাজার টাকায় পতিত এই জমিটি বর্গা নিয়েছেন তিনি।
সোনারগাঁও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার বলেন, কয়েকজন কৃষক কচুর চাষ করে চাষিদের নতুন বিকল্পের সন্ধান দিয়েছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যান্য চাষিরাও কচু চাষে এগিয়ে এসেছেন। আলু বা ধান চাষের থেকে এই চাষে পরিশ্রম বা খরচও কিছুটা কম।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail:
mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087,
01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model
Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com