পটুয়াখালীর দুমকিতে মুরাদিয়া নদীর জোয়ারের পানির প্রবল স্রোতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) ওয়াপদা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার প্রায় ৫ গ্রামের মানুষ।
উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়ার কলবাড়ি বাজার থেকে ভক্তপাড়া সড়কের ভূইয়া বাড়িসংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২০-৩০ ফুট পাকা রাস্তা ভেঙে যানচলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।পাউবোর ওয়াপদা বেড়িবাঁধের নিচ দিয়ে নিয়মিত পানি ওঠানামায় আস্তে আস্তে মাটি সরে গিয়ে বিশাল সুড়ঙ্গ সৃষ্টি করে এবং ওই সুড়ঙ্গস্থলের পাকা সড়কটি আড়াআড়ি ভেঙে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যথাসময়ে মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় সড়কটি ভেঙে পড়ায় দক্ষিণ মুরাদিয়ার অন্তত পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
বর্তমানে দক্ষিণ মুরাদিয়ার ভক্তপাড়া-বোর্ড অফিস, চরগরবদি লঞ্চঘাট ও উপজেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এসব রুটে চলাচলকারী মাহেন্দ্রা, অটোরিকশা, রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
দক্ষিণ মুরাদিয়ার বাসিন্দা হালিম শিকদার অভিযোগ করেন, পাউবোর ওয়াপদা বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলার কারণে আজ এ সড়কটি ভেঙে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যার দরুন কৃষকরা বাজারে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বা পণ্য বিক্রি বা যাতায়াত করতে পারছে না। সড়কটি যথাসময়ে মেরামত করা হলে এমন দুর্ভোগে পড়তে হতো না।
তাছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন খান বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে দ্রুত মেরামতের জন্য বলা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাউবো কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে তারা সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যকে মাটি ভরাটের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাটি ভরাট সম্পূর্ণ হলে ভাঙ্গনের পাকা অংশ মেরামত করা হবে।
পটুয়াখালী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হালিম সালেহীন বলেন, পাউবোর অনুমোদনক্রমেই ওয়াপদা বেরিবাদের উপর এলজিইডি সড়কটি নির্মাণ করেছে। তাই ওই সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তাদের।