প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২৫, ৪:৫৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৪, ২০২১, ৩:১৭ পি.এম
সোনারগাঁয়ে কাশবনে দর্শনার্থীদের ভিড়

মাজহারুল রাসেল : শরতের নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘের ভেলা। এ নিয়ে অনেক কবিতা ও গান রচিত হয়েছে। বাস্তবেও যেন তাই। শরতের সৌন্দর্য এখন দেশের অনেক জায়গায় দেখা যায়। তেমনই সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটি বন্দরের রিজোর্ট সিটির বালুর মাঠ প্রকৃতির এমন অপরূপ সাজ লক্ষ্য করা গেছে। তাই তো অনেকেই ছুটছেন সেখানে বিনোদন পেতে।নতুন এ বিনোদন স্পটে দর্শনার্থীরা কাঁশফুলের সাথে মিলেমিশে একাকার হচ্ছেন। ক্যামেরা বা মুঠোফোনে ছবি তোলায় মেতে ওঠেন। আবার অনেক শর্ট ফিল্ম প্রযোজকরা আসেন শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করতে।
বৈশ্বিক উষ্ণতা আর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে প্রকৃতি যখন তার চিরায়ত রূপ হারাচ্ছে; তখন উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর রিজোর্ট সিটির বালুর মাঠ এলাকার মধ্যে তাকালেই দেখা যাবে নীল আকাশের নিচে বাতাসে দোল খায় সাদা কাশফুল। সেই কাশবন যেন হয়ে উঠেছে শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি!
শরতের বিকেলে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি উপেক্ষা করে যান্ত্রিক পরিবেশকে পেছনে ফেলে প্রকৃতির কাছ থেকে একটু প্রশান্তি পেতে প্রায়ই কাশবনে ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এখানকার কাশবন যে কারো মনকে উদ্বেলিত করে। মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন ভাটিবন্দর এলাকায় ভেতরে ঢুকলেই চারদিকে কাশফুল, নদীর ধারে শরীর-মন জুড়িয়ে দেওয়া বাতাস।
তাই দুপুরের তীব্র রোদ উপেক্ষা করে কাশবনে বসে কেউ গল্প করছেন। আবার কেউ নিজের ছবি তুলছেন। আর পড়ন্ত বিকেলের কথা তো বলেই শেষ করা যায় না। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়।
কাশবনে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, ‘সাদা আর সবুজের মিলনমেলার পাশ দিয়ে বয়ে চলা মেঘনা নদীর তীরে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতিই অন্যরকম। সাদা মেঘের সঙ্গে এ কাশফুলের সাদা রং মনকেও সাদা করে দেয়। শরৎ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর অপরূপ সাজে সাজিয়েছে।’
তারা আরও বলেন, ‘শরতের বিকেলে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি উপেক্ষা করে কাশফুলের ছোঁয়া নিতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থী। মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন ভাটিবন্দর বালুচর যেন পরিণত হয়েছে সাদা আর সবুজের মিলনমেলায়।’
শরতের এ সময়টাতে সাদা আর সবুজের সাথে একাত্ম হয়ে ছুটে বেড়ায় কোমলমতি শিশু থেকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধরা।থোকা থোকা কাশবন সমতল জনপদ ভাটিবন্দর কে নতুন রূপে সাজিয়েছে। এ যেন প্রকৃতির অপরূপ দান।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail:
mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087,
01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model
Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com