প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৫, ৪:০১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১২, ২০২১, ৯:০৬ পি.এম
সোনারগাঁয়ে ডিম ও মুরগির চড়া দামেও সুফল পাচ্ছেন না খামারিরা

মাজহারুল রাসেল : সোনারগাঁ উপজেলার বাজার গুলিতে ডিম ও মুরগির দাম বাড়লেও এর সুফল পাচ্ছেন না প্রান্তিক পর্যায়ের খামারি। উপজেলার মানুষের প্রায় ৩৬ শতাংশ প্রোটিন আসে পোল্ট্রি খাত থেকে। কিন্তু হঠাৎ করেই সারা দেশে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সব ধরনের মুরগি ও ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বাজারগুলোতে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। আর সোনালি মুরগির বেড়েছে ২০ টাকা।
উপজেলার খামারিরা জানান, খামার করে আমরা বছরের পর বছর লোকসান গুনছি। আর দাম যখন বাড়ছে, তখন এর সুফল ঘরে তুলতে পারছি না। পাঁচ বছরে খামার বন্ধ হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক । এদিকে দিন দিন দাম বাড়ায় বিপাকে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির মতো পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দামও দফায় দফায় বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পোলট্রি ব্যবসায়ী সামাদ ব্যাপারি বলেন, মাস দুয়েক আগে মুরগির যে চাহিদা ছিল, এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আবার বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে। ফলে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। সবমিলিয়ে মুরগির দাম বেড়ে গেছে। উপজেলার বাজারগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিম ৫ থেকে ১০ টাকা কমে খুচরায় ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা দরে।
উপজেলার পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে খামারে সব ধরনের মুরগির উৎপাদন কম হচ্ছে। করোনাকালীন এমনিতেই অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এর পরও যেসব খামারি পুনরায় শুরু করতে চাইছেন, তাদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুরগির খাদ্যের দাম। চলতি বছর কয়েক দফায় খাদ্যের দাম বাড়ায় অনেকেই খামারে মুরগি উৎপাদন করছে না। এতে খুচরা ও পাইকারি বাজারে দেখা দিয়েছে মুরগির সংকট।
সোনারগাঁও পোল্ট্রি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন বলেন, উপজেলার সিংহভাগ মাংসের চাহিদা পূরণ করছে পোল্ট্রি শিল্প। কিন্তু এ শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল সয়ামিলের দাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাচ্চার দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু ডিম ও মাংসের দাম খামারি পর্যায়ে সেভাবে বাড়েনি। এ কারণে উপজেলার কয়েক শত প্রান্তিক খামারিরা লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসানে পড়েছেন। এমনকি লোকসান দিতে দিতে অনেকই খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail:
mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087,
01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model
Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com