অংশগ্রহণকারী রোলার স্কেটারা মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় স্কেটিং করে নিরাপদে সড়ক ব্যবহার বিষয়ে জনসচেতনতামূলক তথ্য প্রচার করে।উল্লেখ্য, গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাইলে ৪-৫ শতাংশ দুর্ঘটনার
সম্ভাবনা বেড়ে যায় । যানবাহনের গতি যত বেশি কম হবে, পথচারীদের জন্য আহত ও মৃত্যুর ঝুঁকি ততবেশি কম হবে। ৩০ কিলোমিটার ঘণ্টা বেগে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনার নানাবিধ কারণ রয়েছে। এর মাঝে
অনিয়ন্ত্রিতভাবে/ বেপরোয়াভাবে/ অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও ওভারটেক করার প্রবণতা, মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালানো, যথাযথভাবে ও
মানসম্মত হেরমেট ব্যবহার না করা, সকল যাত্রীর সিটবেল্ট না থাকা এবং শিশুদের জন্য বিশেষ সিটের ব্যবস্থা না রাখা প্রভৃতি।প্রতি বছর বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে বহু মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু ৮ম বৃহত্তম কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অব রোড সেইফটি ২০১৮ এর তথ্য অনুসারে
প্রতি বছর বিশ্বে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এবং এসব
মৃত্যুর ৯০ শতাংশ নিম্ম ও মধ্য আয়ের দেশে সংগঠিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ হাজার মানুষ মারা
যায়। নিরাপদ ও পথচারী বান্ধব সড়ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার। এসডিজি
লক্ষমাত্রা অর্জনে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত দ্বিতীয় ডিকেড অ্যাকশান ফর রোড
সেফটির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে “সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮” প্রনয়ণ করে। আইনটি এবছর
আবারো সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের দাবি আইনের
বিশেষ কিছু দিক যেগুলো সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ সেগুলো সংশোধন করা;যেমন-গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা, মটরসাইকেলে আরোহীর ক্ষেত্রে মানসম্মত ও যথাযথভাবে হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দেওয়া, গাড়ি বা যানবাহনে চালকসহ সকল যাত্রীদের সিট বেল্ট পরিধান বাধ্যতামূলক করা, পরিবহনে বিশেষ করে ছোট গাড়িতে শিশুদের জন্য নিরাপদ আসন ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি।মানববন্ধন কর্মসূচীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্নপেশার কর্মকর্তাগন, ডাক্তার, নার্স এবং রোলার স্কেটার সহ প্রায় ৫০ জন অংশ্রগহণ করেন।