মাজহারুল রাসেল : বড় মাছের যে স্বাদ, এর সঙ্গে কুমড়ো বড়ি দিয়ে রান্না করলে স্বাদ ঢের বেশি হয়। আবার মাসকালাইয়ের ডালের কুমড়ো বড়ি দিয়ে শুধু ডাল দিয়েই পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। কুমড়ো বড়ি ভেজে ভর্ত্তা করলে এর স্বাদও মুখে লেগে থাকে। এছাড়া শীতকালে তরকারির সঙ্গে কুমড়ো বডির স্বাদই আলাদা।
স্বাদের কারনে কুমড়ো বড়ির চাহিদাও বেশি। তাই সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের মা চাচিরা শীতকালে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। মইয়ের উপর চিকন বাঁশের খিল দিয়ে তৈরি করা মাচায় সাদা ধবধবে কুমড়ো বড়ি শুকানো হচ্ছে।
আবার কোথায় কোথায় রাস্তার পাশে বাঁশের মাচার উপর কুমড়ো বড়ি রাখা হয়েছে। গ্রাম জুড়ে ধবধবে শুধু কুমড়ো বড়ি। এই গ্রামের নারীরা কেউ বা কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত আবার কেউ বা শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
নারীরা জানান, কুমড়ো বড়ির তৈরির প্রধান উপকরন মাসকালাইয়ের ডাল, মাচার কুমড়ো, কালি জিরা ও মসলা। বাজার থেকে মাসকালাইয়ের ডাল কিনে রোদে শুকিয়ে জাতায় পিষে রাখা হয়। তার পর পানিতে সব উপাদান মিশিয়ে কুমড়ো বড়ি সম্পাদনা করা হয়।
গৃহিনী বিউটি, ডালিয়া,ডলি,জয়া,ইতি,ডায়নার মত অনেকেই জানান,মাচার চাল কুমড়ো মাষ কালাইয়ের ডাল সহ বিভিন্ন উপাদান পানিতে ভিজে রাখি। তারপর সব গুলো নরম হলে পরিবারের সবাই মিলে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে জাতায় বাটা হয়।
এরপর গামলার মধ্যে দিয়ে ভিজানো মাসকালাই ও কুমড়ো অনেক সময় ধরে মিশানোর পর সাদা ধবধবে হওয়ার পর পাতলা কাপড়ে করে মাচার উপর ছোট ছোট করে বড়ি দেওয়া হয়। ভালো করে শুকানো হলে কুমড়ো বড়ি সাদা কাপড় থেকে তুলে পাতিলেও কৌটায় রাখা হয়। এসব বড়ি তরকারির সাথে খুব মজা লাগে।
মনায়কান্দি গ্রামের জামাল জানান, এই শীতে কুমড়ো বড়ির স্বাদই আলাদা। যা প্রতিটি ছোট বড় মাছের সাথে খুব মজা করে খাওয়া যায়। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ফয়দা লুফে নেয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিম্নমানের ভেজাল কুমড়ো বড়ি বিক্রি করছে। যা স্বাস্থ্য সম্মত না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।