মাজহারুল রাসেল : প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানজনক ব্যবসার মধ্যে ফার্মেসি ব্যবসা অন্যতম। এখানে কম পুঁজি বিনিয়োগ করে সহজেই লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ইচ্ছা করলেই যে কেউ ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করতে পারবে না। একটা দোকানে কিছু ওষুধ নিয়ে বসে পড়া বেশ সহজ, কিন্তু প্রক্রিয়াটা অবৈধ।
এ জন্য অবশ্যই ব্যবসার অন্যান্য আনুসাঙ্গিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে আরো অতিরিক্ত করতে হবে ফার্মেসীস্টের ট্রেনিং এবং ড্রাগ লাইসেন্স। ওষুধ তিনিই বিক্রি করতে পারবে যার ফার্মেসীস্ট ট্রেনিং আছে এবং যিনি ড্রাগ লাইসেন্স পেয়েছেন। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনগত ভাবে এটি একটি দন্ডনীয় অপরাধ।
আর ওষুধ ব্যবসার জন্যে অতি প্রয়োজনীয় এই ড্রাগ লাইসেন্সটি ইস্যু করে বাংলাদেশ সরকারের ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর’। ড্রাগ লাইসেন্সটি অর্জন করতে হলে ‘বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল’ থেকে আপনাকে তিন মাসের একটি ফার্মেসীষ্ট ট্রেনিং কোর্স (সি ক্যাটাগরীর ফার্মেসীস্ট হিসেবে রেজিঃ পাওয়ার জন্য) সম্পন্ন করতে হবে।সোনারগাঁও উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নে সহস্রাধিক ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে। মূলত ওষুধের ব্যবসা বেশিরভাগ করছেন শিক্ষিত বেকার যুবকরা।
এ উপজেলার অলিতে গলিতে ছোট বড় ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি গড়ে উঠেছে চোখে পড়ার মতো।
তেমনই এক ফার্মেসির মালিক সানাউল্লাহ মুন্সি কাঁচপুর ইউনিয়নের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডে, তার সাথে আলাপ করে জানা যায়, ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে ঔষধের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ঔষুধের দোকানে প্রতিদিন ভালো বেঁচা কিনি হয়। গড়ে প্রতিদিন তার দেড় থেকে দুই হাজার টাকার মত লাভ হয়। দোকান ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচপাতি দিয়ে ভালই আছেন বলে প্রকাশ করেন।
সোনারগাঁয়ের প্রাণকেন্দ্র মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের ওষুধের দোকানের মালিক আবুল হোসেন জানান, তিনি প্রতিদিন ৫০থেকে ৬০ হাজার টাকার ওষুধ বিক্রি করেন। তিনি জানান আগে মূলত তিনি কনফেকশনারী ব্যবসা করতেন তার পাশাপাশি ঔষধের ব্যবসা শুরু করেন। এখন তার প্রতিমাসে দোকান ভাড়া,বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন সহ আনুষাঙ্গিক খরচ পাতি করে তার মাসে ৫০থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম হচ্ছে।
তাদের মতো বিভিন্ন ঔষধের দোকান মালিকদের সাথে আলাপকালে জানা যায় এই করোনার কালে তাদের ওষুধের ব্যবসা খুবই জমজমাট।
ঔষধের দোকান মালিকরা জানান, নিম্নমানের, ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধে ও ন্যায্যমূল্য যাতে করে ক্রেতারা ঔষুধ পান সেই লক্ষ্যে সকল ফার্মেসি মালিকেরা ফার্মেসি মালিক সমিতি করেছেন।