মোঃ জসিম মাহমুদ, আপাদমস্তক সংবাদকর্মি। বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার সাংবাদিক মহলে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। গড়ে উঠেছেন রাজধানী ঢাকায়, কিন্তু যাত্রা করেছেন উল্টো পথে; অবস্থান নিয়েছেন জন্ম জেলা ফেনীতে। পরিচিতজনদের দেখি...দূর উপজেলা কিংবা জেলা সদরে প্রান্তিক সংবাদকর্মি হিসেবে গড়ে উঠতেই পাড়ি জমান ঢাকার পথে, রাজধানী হয়ে উঠে তাদের চুড়ান্ত অবস্থান। কিন্তু বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চ্যালেঞ্জিং জীবন গ্রহণে সিদ্ধহস্ত জসিম মাহমুদ নিজের পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। তিনি সাবলীলভাবে রাজধানী জয় করে ফিরে গেছেন আপন ভূবণে। জন্মস্থানের প্রতি আমৃত্যুর ঋণ শোধাতে তিনি বিবেকের ডাকেই ছুটে গেছেন ফেনী। সেখানেই নিজের মতো করে মেধা শ্রম দিয়ে আপন বলয় গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কী সে বলয়? ফেনীর রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল? সাংবাদিকতার শিরোমণি হওয়া? অর্থ সাম্রাজ্যে বলিয়ান হয়ে ওঠা? না, এসবের কোনো কিছুই জসিম মাহমুদের চাওয়া পাওয়া নয়। তার চাওয়া: অন্যরকম দায়বদ্ধতাসম্পন্ন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তার আকাঙ্খা: দায়িত্ববোধ মূলক নাগরিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা। সে ব্যবস্থায় সকল শ্রেণীর মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকেই গড়ে তুলবেন গ্রাম শহরের জনপদ, উৎসাহের সঙ্গেই একজন এগিয়ে যাবেন আরেকজনের পাশে। বিপদ, আপদ, আনন্দ, উচ্ছ্বাস ভাগাভাগি করে নিবেন দারুণ আগ্রহে। সেই সমাজ ব্যবস্থায় ধনী গরিব মূখ্য হয়ে উঠবে না, শিক্ষিত অশিক্ষিত হিসেবে শ্রেণীভেদ হবে না-সেখানে উদার মানসিকতার পরোপকারী মানুষজনই হয়ে উঠবে সকলের কাঙ্খিত প্রিয়জন।
স্টার লাইন গ্রুপ'র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ জসিম মাহমুদ স্থানীয় সাংবাদিকদের ভালবাসা ও আস্থার সমর্থনে ফেনী প্রেসক্লাবেরও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই কয়েকটি ভাগে বিভক্ত থাকা প্রেসক্লাবসমূহকে একই ঘরভুক্ত করার ক্ষেত্রেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন তিনি। নানা মত অভিমত কিন্তু প্রেসক্লাব অভিন্ন-এ ধারনায় বিজ্ঞ সংবাদকর্মিরা অবস্থান নেয়ায় এখন ফেনীর সাংবাদিকতার পালে আরো বেশি মর্যাদার বাতাস লেগেছে, অতিতের চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিতও হয়েছেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সংগঠন (বিএমএসএফ) এর সার্বজনীন ফেনী কমিটিরও আহবায়ক হয়েছেন জসিম মাহমুদ।
ফেনীর শিল্প ও বাণিজ্য’র ক্ষেত্রে গুরুত্ববহ অবস্থান গড়ে তোলা স্টার লাইন গ্রুপ দেশের পরিবহণ বাণিজ্যে সমধিক পরিচিত। নানা ক্ষেত্রেই সফল হিসেবে পরিগণিত স্টার লাইন গ্রুপও ফেনীর সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রেখে চলছে। ইতিমধ্যেই গ্রুপটি ফেনী থেকে নিয়মিত প্রকাশ করে চলছে দৈনিক স্টার লাইন নামের একটি পত্রিকা। এ সংবাদ মাধ্যমটিও দেখভাল করে থাকেন মোঃ জসিম মাহমুদ। নিয়মিত অনলাইন প্রকাশনাও রয়েছে পত্রিকাটির। দৈনিক স্টার লাইন এর পর পর দশটি সংখ্যা উল্টে পাল্টে আমার আগাম আন্দাজটিও ভুল প্রমানিত হলো। ভেবেছিলাম এ পত্রিকায় স্টার লাইন গ্রুপ এর যাবতীয় খবরা খবর ফলাওভাবে ছাপানোর পর হয়তো জনপদের খবরা খবর ঠাঁই পাবে। যেখানে জাতীয় পর্যায়ের বহু দৈনিক পত্রিকাই বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানির প্রচার মাধ্যমে পরিনত হয়েছে সেখানে ফেনীতে ব্যতিক্রম হবে কেন? কিন্তু পত্রিকা পরখ করে দেখলাম, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও জসিম মাহমুদ পত্রিকাটিকে গণমাধ্যমে পরিনত করার প্রয়াসই অব্যাহত রেখেছেন, প্রচারমাধ্যম নয়।
চলতি সপ্তাহেই জসিম মাহমুদ তার বহু স্মৃতির পাঠশালা, রাজধানী ঢাকায় এসেছিলেন। ছোটাছুটি, ব্যস্ততার মধ্যেও আলাদাভাবে সময় নিয়ে তিনি মতিঝিল দিলকুশাস্থ বিএমএসএফ কার্যালয়ে ঢু মারেন। সংগঠনের সেমিনার কক্ষে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তার সঙ্গে। সংবাদপত্র, সাংবাদিকতা এবং সংশ্লিষ্ট সেক্টরের অতীত, বর্তমান এবং আগামি নিয়ে যথেষ্ঠ ধ্যান ধারণা রাখেন জসিম মাহমুদ। সাংবাদিকতার আগামি নিয়েও রয়েছে তার নিখুত পরিকল্পনা। তিনিও স্বপ্ন দেখেন স্বনির্ভর সাংবাদিকতার সমৃদ্ধ আগামির। দেশের সীমান্তবর্তী এক জেলা শহরে অবস্থান করেও জসিম মাহমুদ গোটা বাংলাদেশ নিয়ে ভাবেন। দেশের উন্নয়নশীল যাত্রায় গৌরবান্বীত বোধ করেন, বিশৃঙ্খলা আর সঙ্কটের আশঙ্কাযুক্ত খবরে তারও মনটা মুষঢ়ে যায়। জসিম মাহমুদের মতো প্রাণখোলা উজ্জিবিত সাংবাদিকদের সহকর্মি হতে পেরে আমি নিজেও সদা গৌরববোধ করি......
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর ইনচার্জ সাইদুর রহমান রিমন এর ফেসবুক থেকে
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com