তন্ময় শাহ্, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আশরাফুল (২২) ও মতিউর (২০) নামে ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে পুরাতন ঠাকুরগাঁও বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করে রুহিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আশরাফুল পুরাতন ঠাকুরগাঁও এলাকার মোকলেসুরের ছেলে ও মতিউর চিলারং বাসগাড়া এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্য রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় ৯ম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পরদিন দুপুরে ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানায়মেয়ের বাবা বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উলেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা জানান, ঘটনার দিন রাত ১২ টার দিকে পরিবারের সকলে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত
আনুমানিক তিনটার দিকে তিনি বাড়ীর আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন, তার মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝড়ছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আচড়ের চিহ্ন। রাতেই ঢোলারহাট বাজারের পলী চিকিৎসক লিজা বিশ্বাসের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি অবগত করেন। সকালে স্থানীয় মেম্বার ও মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পরে। পরে পুলিশের গাড়ীতেই ভুক্তভোগি মেয়েকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী হাসপাতালের বেডে কান্নাজড়িত কন্ঠে বর্বরতার ঘটনা বর্ণনা করে জানান, ঘটনার দিন প্রেমিক সুজনের ফোন পেয়ে বাড়ীর সকলের অগোচরে ঘর থেকে দেখা করতে যায়। পরে সুজন ও তার বন্ধুরা তাকে মটরসাইকেল যোগে একটি মুরগীর খামারের ভিতরে নিয়ে গিয়ে প্রেমিক সুজন ও সুজনের বন্ধু আশরাফুল, বিপ্লব, আরিফসহ চার-পাঁচজন মিলে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এসময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, পরে জ্ঞান ফিরলে দেখে সে তার বাড়ীর পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে কোনরকমে সে বাসায় পৌঁছায়। সুজন ঠাকুরগাঁও ইসলামনগর হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর অভিযুক্তদের ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।