মোঃ শামীম আহমেদ জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী।
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ১নং আমখোলা ইউনিয়নের অন্যতম ৫নং ওয়ার্ড বাশবুনিয়া মদির হাট দাখিল/আলিম মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠাতা লগ্ন থেকেই চলিতেছে দুর্নীতি সহ জাল জালিয়াতির আস্তানার স্হান। যাদের আস্হাভাজন হল যখন যে সরকার খমতায় থাকে তখনকার নেতৃত্বে থাকা কিছু অসাধু চাটুকার সার্থবাদী নেতা সহ উপর মহলের চাকরিজীবি কর্মকর্তা গন। এ রকম প্রচুরপরিমাণ প্রমাণ রয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে। যা বিগত জেলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিগত দিনে এই মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মোঃ ফজলুল হক হাং একাধিক বার
চেষ্টা করিলেও কিছু কুচক্রী মহলের দলীয় নেতাদের জন্য পেরে উঠতে ব্যার্থ হয়েও তিনিও হাল ছারেনি। এর পরে ঐ মাদ্রাসার সভাপতি হন মোঃ বশির আহমেদ। সভাপতি হয়ে তিনি বিভিন্ন সময় অএ প্রতিষ্ঠানে একাধিক বার সভার আহবান করেন এবং অএ প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাছাই বাছাই সহ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের সকল কাগজপত্রে তেমন কোন মিল পাচ্ছে না তাই তিনি অনেক খতিয়ে অনেক গরমিল দেখতে পান যা কয়েক বার জেলা উপজেলা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরপন্ন হন। যখনই এই সকল তদন্তের কাজ শুরু হয় তখনই তৎকালীন সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান বিভিন্ন কলা কৌশল করে মোঃ বশির আহমেদ কে বাদ দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর মাধ্যমে এটাহাক কমিটি করে তার ওরজজাত সন্তান মাওলানা মোঃ ইলিয়াস কে সভাপতি করে নিয়ে আসে। এর পরই শুরু হয়ে যায় দুর্নীতির গতি অনেক বেড়ে যায়।
বিগত সাবেক সভাপতি মোঃ বশির আহমেদ ১৩/০৯/২০২০ সালে মোকাম গলাচিপা বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৩০/২০২০
বাদী মোঃ বশির আহমেদ গং/ বিবাদী মোঃ আবুল বাশার গং।
বিষয় :-বাদীপক্ষে দেওয়ানী কার্য্যবিধি আইনের আদেশ ৩৯ নিয়ম ১ ও ১৫১ধারায় বিধান মোতাবেক বিবাদীগন প্রতি অস্হায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা বলে উক্তে মামলায় উল্লেখ করেন। বিনীত নিবেদন আর্জি প্রকাশিত মতে (ক) তফসিল মাদ্রাসার গত ইং ৩০/০৯/২০১৮ তারিখের নির্বাহী কমিটি গঠন আদেশ.ঐ মাদ্রাসার গত ১৪/০১/২০১৯ তারিখের সুপার নিয়োগ এবং গত ইং ০৮/১০/২০১৬ তারিখের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বে-আইনী,বে-ধারা,যোগাযোগ তথা ক্ষমতা বর্হীভূত সাব্যস্ত বাতিলের ডিগ্রি দানের প্রার্থনায় মূল মোকদ্দমা আনয়ন করিয়াছেন।
অএ বাদীদ্বয় মধ্য ১নং বাদী তফসিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ২নং বাদী অএ মাদ্রাসার হিতাকাঙ্খী এবং তাহাদের তথা এলাকার সকলের অর্থে এবং সার্থে অএ মাদ্রাসাটী ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হইয়েছে। বতর্মানে উহা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় রুপান্তরিত হইয়েছে। মাদ্রাসাটি দিন দিন যাতে আরও উন্নতি হয় তৎজ্জন্য এলাকার সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের যথেষ্ট খেয়াল আছে।
অর্থাৎ সকলের অনুদানে মাদ্রাসাটি স্হাপিত হয়।
উক্ত মাদ্রাসায় তৎকালীন সভাপতি অর্থাৎ প্রাক্তন সভাপতি জনাব মোঃ বশির আহমেদ সভাপতি থাকা অবস্থায় মাদ্রাসাটির সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক মানছুর আহমেদ কে অদৌ নিয়োগ প্রদান করেন নাই এবং সার্কূলারের রেজুলেশনও কোন স্বাক্ষর করেন নাই। ১নং বাদীর সহি স্বাক্ষর জালিয়াতি করিয়া নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী তৎকালীন সুপার হাফিজুর রহমান সম্পন্ন করিয়েছে। তাহাতে উক্ত মানসুর আহমেদের নিয়োগ বাতিল হইবে।
উক্ত মাদ্রাসার সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান অব্যহতি নেয় ইং ১২/০৭/২০১৮ তারিখে কিন্তুু তিনি ০৩ মাস ১৮ দিনের বেতন নিয়েছে বে-আইনী ভাবে।আগষ্ট,সেপ্টেম্বর,অক্টোবর /২০১৮ সালের এবং জুলাই মাসের ১৮ দিন অর্থাৎ ০৩ মাস ১৮ দিনের সরকারি টাকা আত্নসাৎ করিয়েছেন। ১নং বিবাদী তফসিল মাদ্রাসার নিজে নিজেই সুপার হওয়ার জন্য যে জাল জালিয়াতি তথা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন তাহা বিজ্ঞ আদালত হইতে বিচার করিলে ১নং বিবাদী যে-বেইনী ভাবে সুপার হিসেবে নিয়োগ নিয়াছেন তাহা বাতিল হইবে কারন দৈনিক সমকাল পএিকায় ১৫ জুলাই /২০১৮ ইং তারিখে সুপার নিয়োগের সার্কূলার দেখায়। কিন্তুু বর্তমান সুপার প্রকৃতপক্ষে ১৫ ই জুলাই /২০১৮ তারিখে সুপার নিয়োগের কোন সার্কুলার ঐ পএিকায় নেই। উহা গোপালগঞ্জের নৈশ প্রহরীর সার্কূলার ছিল। বহু প্রচারিত পএিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে স্হানীয় পএিকা দৈনিক গনদাবী এবং দৈনিক সোনালী পএিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমপি.ও করার সময় কাটপিস করে দৈনিক সমকাল পএিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তকালে সভাপতি সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বলেন যে তারা দৈনিক সমকাল পএিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন নি। তারা করেছেন সোনালী বার্তা নামক একটি দৈনিক পএিকায়। অথচ নিয়োগের পূর্বে মহাপরিচালক, মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে তার প্রতিনিধি মনোনয়ন সহ সকল কাজে দৈনিক সমকাল পএিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানকৃত অংশ ব্যবহার করেছেন। তবে ঐ তারিখ সমকাল পএিকায় উল্লেখিত মাদ্রাসার সুপার পদে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পরিলক্ষিত হয়নি। এতে মনে হয় কারসাজি করে পরিকল্পিতভাবে সমকাল পএিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সেট করা হয়েছে। তার প্রমান হিসাবে উপজেলা অনলাইন এমপিও সফটওয়্যার এ সাচিং দিয়ে দৈনিক সমকাল পএিকার অস্তিত্বই খুজে পাওয়া যায়।
বতর্মান কথিত নির্বাহী কমিটির সভাপতি দায়িত্ব প্রাপ্ত হয় ইং ৩০/০৯/২০১৮ তারিখে।কিন্তুু উক্ত কথিত সভাপতি ক্ষমতা গ্রহনের পূর্বেই ইং ১৪/০৭/২০১৮ তারিখে শুনপদ ঘোষণা করেন এবং পএিকায় সার্কুলার দেওয়ার আদেশ প্রদান করেন যাহা বে-আইনী। ২নং বাদী এটাহাক কমিটির সভাপতি মোঃ ইলিয়াস মাওলানা কৌশলে তার পিতা সাবেক সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান এর চাকরির মেয়াদ ০৩ মাস থাকার পূর্বেই অর্থাৎ ইং ১২/০৭/২০১৮ তার অব্যহতিপএ গ্রহণ করেন। অর্থাৎ সভাপতি পদে যোগদানের পূর্বেই এহেন কার্য্যক্রম করিয়াছেন।
উক্ত কার্যক্রম এর বিরুদ্ধে মোঃ বশির আহমেদ গং উপজেলা শিক্ষা অফিসার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে অভিযোগ করেন। তাহাতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইং ২৬/০৮/২০১৯ তারিখে তাহার তদন্ত প্রতিবেদনে সু স্পভাবে উল্লেখ করেন যে বর্তমান সুপার মোঃ আবুল বাশার এর নিয়োগ বে-আইনী গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ইং ১৪/০৭/২০১৯ তারিখে বতর্মান সুপার মোঃ বাশার এর নিয়োগ বে-আইনী। এই একইভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পরিদর্শক ৩০/১০/২০১৯ তারিখের প্রতিবেদনে ঐ সুপার মোঃ আবুল বাশার এর নিয়োগ বেআইনী রিপোর্ট প্রদান করেন।
কোন পুরাতন প্রতিষ্ঠানে দাখিল ও আলিম স্তরের কোন মাদ্রাসায় নির্বাহী কমিটি গঠিত হতে পারে না। উহা বেআইনী সাব্যস্ত নির্বাহী কমিটির যাবতীয় কার্যক্রম বাতিল হইবে। অর্থাৎ বিধান মোতাবেক ইং ৩০/০৯/২০১৮ তারিখের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হইতে যে দুর্নীতি বাজ সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস কে নির্বাহী কমিটির সভাপতি করা হইয়েছে তাহা বাতিলযোগ্য বাতিল হইবে এবং ঐ কমিটির যাবতীয় কার্যক্রমের কোন মূল্য নাই সাব্যস্ত হইবে।
যেহেতু কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদ শুন্য হইলে সহকারী প্রধান উক্ত প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় দায় দায়িত্ব প্রাপ্ত হইবে কিন্তুু অএ মাদ্রাসার ক্ষেত্রে ১নং বিবাদী সুপার মোঃ আবুল বাশার,২নং বিবাদী দুর্নীতিবাজ সভাপতি মোঃ ইলিয়াস ও ৩নং বিবাদী সাবেক দুর্নীতিবাজ সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান তাহারা নিকটবর্তী আত্মীয় ৫নং শিক্ষক মোঃ আব্দুল মান্নান কে উক্ত মাদ্রাসার দায়িত্ব প্রদান করিয়েছেন যাহা বেআইনী।
যেহেতু নির্বাহী কমিটি কোন নিয়োগ সংক্রান্ত সার্কুলার বা পেপার বিজ্ঞপ্তি দিতে পারিবেনা।
কোন প্রকারের নিয়োগ সংক্রান্ত কার্য্যকলাপ করিতে পারিবেনা। তৎকারনে তফসিল মাদ্রাসার সুপার নিয়োগ ও সহকারী শিক্ষক সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়োগ বেআইনী সাব্যস্ত বাতিল হইবে।
তখনকার বৈধ সভাপতি জনাব হাজী মোঃ বশির আহমেদ সাহেব বলেন যে তার সভাপতিত্ব কালীন সময়ে তিনি মনসুর আহমেদ নামে কোন ব্যক্তির নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাজে সম্মতি বা স্বাক্ষর প্রদান করেননি। অথচ নিয়োগ সংক্রান্ত সকল পেপারের প্রয়োজনীয় স্হানে সভাপতি স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে যা সকল দুর্নীতিকে হার মানিয়েছে। ঐ মাদ্রাসার সুপার সহ কিছু শিক্ষক এর কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মকর্তার জালিয়াতি স্বাক্ষর সহ ছীল রয়েছে যা দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেআইনী কাজ করা হয়।
অএ মামলায় তফসিল বাশবুনিয়া ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় নির্বাহী কমিটি গঠন,সুপার নিয়োগ,সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনী ও ক্ষমতা বর্হিভূত বটে। তাই বলে উল্লেখিত স্বাক্ষরে গলাচিপা বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত, পটুয়াখালী একটি রায় ঘোষণা করেন মোঃ বায়জিদ রায়হান সহকারী জজ গলাচিপা পটুয়াখালী। ০৮/০২/২০২২ ইংরেজি তারিখে।
এই বিবাদীদের কাছে প্রয়োজনমতো অএ এলাকার চৌকিদার,মেম্বার,সচিব,চেয়ারম্যান সহ উপজেলা জেলা ও শিক্ষা অধিদপ্তর সহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের জাল জালিয়াতি করার একাধিক ছিল প্যাড রয়েছে যা দিয়ে সকল বিপদআপদ থেকে রক্ষা করে।
এবং উপজেলা ও জেলার একাধিক সাংবাদিক অএ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে অবগত আছেন।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com