ব্রজেন দাশ : আশাশুনির গাবতলা গ্রামের বিলে ধানের রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ কৃষকরা। এগারো শত বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ে কৃষকেরা এখন হাহাকার করছে। না পারছে রোগ নির্ণয় করতে না পারছে কোন সঠিক প্রতিশোধক ব্যবহার করতে।গাবতলা, কাটাখালী ও খেজুরডাঙ্গা গ্রামের ৯০ ভাগ মানুষের নাওয়া খাওয়া এই ফসলের উপর নির্ভর করে।এলাকাবাসীর মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
স্থানীয় কৃষক সুকোমল দাশ জানান, এলাকায় অধিকাংশ লোক কৃষি বিষয়ে তেমন অজ্ঞ না। ধানের শীষ দেখা দেওয়ায় পর শীষগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।এক এক রাতে বিঘা বিঘা জমির ফসল এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।কেও বলছে এটা ব্লাস্ট রোগ ,কেও বলছে এটা খোল পঁচা রোগ। কৃষকেরা অনন্যোপায় হয়ে জমির রোগাক্রান্ত কিছু ধানের শীষ নিয়ে ছুটছে কীটনাশকের দোকানে।দোকানিরা তাদের সুবিধার্থে যে কীটনাশক ব্যবহার করতে বলছে কৃষকেরা সেটি ব্যবহার করছে। চড়া দামে কীটনাশক ব্যবহার করেও ফসলের কোন পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে না।
কোন কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন - ট্রুপার ,ফিলিয়া , লুমেকটিন ,রাইডার প্লাস এমনকি কবুতর এর পাতলা পায়খানা, রানীক্ষেত, রক্ত আমাশয় রোগের জন্য ব্যবহারিত রেনামাইসিন ট্যাবলেট ও ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু কোনভাবেই এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেনা কৃষকেরা।
আরেকজন কৃষক জানান জমিতে ধান লাগিয়ে এই পর্যন্ত বিঘা প্রতি ৮ - ৯ হাজার টাকা খরচ করা হয়ে গেছে।এই ফসল ঘরে না তুলতে পারলে তাদের দুঃখ দেখার লোক থাকবে না।তিনি আরো বলেন এ যেন করোরা ভাইরাসের প্রতিরূপ। কোনভাবেই ফসলের এই শীষ শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না।
কবুতরের রোগের ঔষধ পর্যন্ত ব্যবহার করা হচ্ছে ধানের ক্ষেতে। কৃষকেরা চড়া দামের কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছেনা। শীষ শুকানো রোধ করতে সঠিক রোগ এবং প্রতিশোধ সম্পর্কে জানতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কাছে আকুল আবেদন জানায় এলাকাবাসী। যাতে করে কৃষকরা হয়রানির শিকার না হয় এবং ধান চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com