মোঃ শামীম জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী।
গত ১৮/০৪/২০২২ বিকাল ৩.৩০ ঘটিকার সময় ১নং আমখোলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ কাওসার খা.পিতা মৃত্যু মোঃ খালেক খা সর্ব সাং মধ্যে আমখোলা। মোঃ কাওসার খা প্রতি বছর বিভিন্ন জেলা থেকে আরতদারী গন তরমুজ কিনতে আসলে তাদের সঙ্গে থেকে তরমুজ ব্যাবস্যায়ীদের সাহায্য সহযোগিতা করতো যাকে বলে দিনমজুরী কাজ করত ।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও একই কাজ করত কাওসার খা। কিন্তুু ঝিনাইদহ এক তরমুজ ব্যাবস্যায়ীকে কাওসার এর সহযোগিতায় এক খেত মালিক এর একটি তরমুজ খেত ১.৭০.০০০ টাকায় কিনে নেন তারা। তরমুজ ক্রয় করার সময় বর্তমান আসামীদের সাথে শর্ত মোতাবেক তরমুজ কেটে ট্রাকে উঠিয়ে দেবার কথা হয়।
আসামীগন শর্ত মোতাবেক ইং ১৮/০৪/২০২২ তারিখ দুপুরে তরমুজ খেত থেকে কাটা শেষে তরমুজ ট্রাকে উঠিয়ে দিতে অস্বীকার করে। কাওসার খা প্রতিবাদ করিয়া তরমুজ খেত হইতে ট্রাকে উঠাইয়া দেওয়ার কথা বলিলে সকল আসামীরা ক্ষিপ্ত হইয়া কাওসারকে বেআইনী ভাবে জনগণের মাঝে লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট সহ পিঠাতে থাকে। এক পর্যায়ে মোঃ কাওসার নিজের প্রান বাচাতে ট্রাকের নিচে আশ্রয় নেয়। কিন্তুু আসামীরা ওখানে গিয়েও বাশের লাঠি এবং লোহার রড দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে তাকে বের করে নির্মমভাবে পিঠাতে থাকে এবং তাহার মাথা.বুক.তলপেট সহ শরীরের স্পার্শকাতর অঙ্গে এলোপাথাড়ি কিল.ঘুষি.লাথি ও পিঠাতে থাকে। একপর্যায়ে তাহার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে কাওসার কে উদ্ধার করে এবং লোকজন উপস্থিতির মধ্যেই আসামীগন তখনই উক্ত কাওসারকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ঘটনাস্থল থেকে এলাকার লোকজন কাওসার কে উদ্ধার করে আমখোলা বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে নিয়ে এসে স্হানীয় চিকিৎসাক চিকিৎসা পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করিতে থাকে । কিন্তুু ২২/০৪/২০২২ তারিখ রাত অনুমাত্র ১.০০ ঘটিকার সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটিলে তৎকালীন চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী পটুয়াখালী সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। উক্ত রুগী মোঃ কাওসারের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কাওসার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইংরেজি ২৪/০৪/২০২২ রাত ৮.০০ ঘটিকায় মৃত্যুবরন করেন। পরবর্তীতে ঘটনায় বিষয়ে বরিশালের কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। মামলা নং ১৫৮/২০২২ মৃত মোঃ কাওসার এর লাশ ময়না তদন্ত শেষে কোতয়ালী থানা পুলিশের নিকট হইতে লাশ বুঝিয়া পাইয়া আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় বাড়িতে আনিয়া দাফন করে।
কাওছারকে যে খুনিরা নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদেরকে পুলিশ এখনোও গ্রেপ্তার করতে পারে নাই। খুনিরা হলো..১/ রুহুলআমিন (৩৮) পিং আলম গাজী,২/ মোঃ জামাল হোসেন (৩০) পিং মোঃ হোসেন গাজী, ৩/ মোঃ সোহাগ (২২) পিং মোঃ নাসির গাজী,
৪/ মোঃ রিয়াজ গাজী (২৮) পিং মোঃ আলম গাজী,
৫/ মোঃ ইমরান (১৮) পিং মোঃ মোশারফ মুস্সুলি,
৬/ মোঃ মিরাজ গাজী (২০) পিং মোঃ আলম গাজী ৭/ মোঃ মোঃ আলম গাজী (৬০), ৮/ মোঃ বশির গাজী (৪৮) উভয় পিং মৃত শুনু গাজী, সর্ব সাং মধ্য আমখোলা। খুনিরা মৃত কাওসারের পরিবারকে, এখনো হত্যার হুমকি দেয় এবং মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দেওয়া হয় ৷ উক্ত ঘটনা মামলার বাদী ও মৃত কাওসারের গর্বধারনী মা মোসা: হামিদা বেগম উক্ত ঘটনার বিবরণ যানায়।
বিভিন্ন পএ পএিকার জেলা উপজেলা সাংবাদিক উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তাই বাদী মোসা: হামিদা বেগম দাবি করেন পুলিশের ,উপরস্ত কর্মকর্তার উপর আইনের আওতায় এনে কাওসারের খুনিদের ধরে, আইনের,মাধ্যমে খুনিদের ফাসি, দেয়া হয়।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com