শেখর মজুমদার , স্বরূপকাঠি প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউপির সপ্তম শ্রেনী পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে মেয়েটির পরিবারকে উপর্যপুরি হুমকি দিচ্ছে ধর্ষকদের পরিবার, এরকম একটি মোবাইল রেকর্ড এসেছে এ প্রতিনিধির কাছে।
অন্যদিকে হুমকির ভয়ে ঘটনাটি প্রশাসনসহ কারো কাছে যানাতেও পারছেনা বলে জানান মেয়ের একাধিক আত্মিয়।
মেয়ের বাবা জানান আমার ঘরের পার্শের ভাড়াটিয়া সোহাগদল ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের বারেক শিকদারের ছেলে উজ্জল শিকদার এবং সোহরাব শিকদারের ছেলে কলেজ ছাত্র রাব্বী শিকদার মেয়েটির এ ক্ষতি করে। তিনি বলেন মোবাইল যোগাযোগের জের ধরে রাব্বীর সাথে বিয়ে দেয়ার কথা বলে মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে বরিশাল যায় উজ্জল। এসময় একটি সাদা কাগজে মেয়ের স্বাক্ষর নিয়ে রাব্বীর সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান উজ্জল। এ ঘটনা মেয়েকে চাপা রাখতে বলে রাব্বী ও উজ্জল। প্রায় ১ মাস পরে গত সপ্তাহে উজ্জল ও রাব্বী সোহাগদলের রাব্বীর চাচা শাহজাহান মিয়ার খালি ঘরে মেয়েকে আটকে রেখে রাত কাটায়। এসময় রাব্বী ও উজ্জল দুজনেই মেয়ের উপর শারিরিক নির্যাতন চালায়।
এ ঘটনার পরদিন স্থানীয় লোকজন জানতে পেরে রাব্বী, উজ্জল ও আমার মেয়েকে আটকে রাখে। এসময় রাব্বী ও আমার মেয়ে তারা স্বামী স্ত্রী দাবী করলেও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।পরবর্তীতে সোহাগদল ইউপির সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর লিপির সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি।
বিসয়টি নিয়ে মেম্বর লিপি বলেন আমি আপনাকে কোনো কথাই বলবোনা। কিছু জানতে হলে আপনি সোহাগদল ইউনিয়ন পরিষদে আসুন। কিন্ত মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১ টায় পরিষদে গিয়ে লিপিকে আর পাওয়া যায়নি এমনকি তার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ধর্ষক উজ্জলের স্ত্রী বলদিয়া ইউপির ছান্টু মিয়ার মেয়ে সুমির একটি মোবাইল রেকর্ড আসে এ প্রতিনিধির কাছে। মেয়ের বাবা ও মায়ের সাথে মোবাইলে বলা কথা রেকর্ডের মাধ্যমে জানা যায়।মেয়েটির সাথে রাব্বী ও উজ্জল রাত কাটালেও পরের দিন সকালে সুমি মেয়েটিকে বেদম মারধর করেন। ওই রেকর্ডে সুমি উল্লেখ করেন সাংবাদিকরা আসছিলো আমি ২০ হাজার টাকা দিয়া তাদের মুখ বন্ধ রাখছি।তুমি সকালবেলা তোমার মেয়েরে সাত দিনের জন্য এলাকার বাইরে পাঠিয়ে দাও। তানা হলে খুব খারাপ হবে।এরকম ৪ টি অডিও রেকর্ড রয়েছে এ প্রতিনিধির কাছে। এ ব্যাপারে সুমির বক্তব্য নেয়ার জন্য প্রথমে তার শশুর বাড়ি সোহাগদল ও পরে তার বাবার বাড়ি বলদিয়া ইউপিতে গেলেও সুমীর দেখা পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত রাব্বী ও উজ্জল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।তবে রাব্বী ও উজ্জলের বাড়ির একাধিক লোক জানান এরা দুজন অতিতেও এমন কর্মকান্ড করেছে। তবে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির প্রশ্রয়ে বার বার ছারা পেয়ে যাচ্ছে।তারা দাবী করেন উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় রাব্বী উজ্জল সহ সকল অপরাধীর এ ঘটনার সুষ্টু বিচার হোক।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com