তন্ময় শাহ্, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার(২১ জুলাই)সকাল সাতটায় ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন নদীর জোড়া সেতুর নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় একজন মাদ্রাসার ছাত্রীকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।
মেয়েটির নাম মাহফুজা খাতুন(১৪)। মেয়েটির বাড়ি দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজ হাট এলাকায়। সে স্থানীয় খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেসা মহিলা মাদ্রাসার সরাহে বাতেয়ার শিক্ষার্থী।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সকাল ৭.০০ টায় জনৈকা মহিলা গরু বাঁধতে ব্রিজের নিচে গেলে হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে স্হানীয়রা ছুটে এসে মেয়েটিকে দ্রুত উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে মেয়েটি উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেসা মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত আলী দৈনিক দেশবাংলাকে টেলিফোনে জানান, সরাহে বাতায়ার শিক্ষার্থী মাহফুজা খাতুন আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজা রাত সাড়ে তিনটায় অন্যদের মতো ঘুম হতে উঠে বলে তার সহপাঠীরা জানান। এরপরে তার সঙ্গে আর কারো দেখা হয়নি। সকালে তাঁর খোঁজ করা হয়েছিল কি না – এমন প্রশ্নের সদুত্তর না দিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে মুহতামিম ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা ঘটনাটিকে রহস্যজনক আখ্যা দিয়ে দৈনিক দেশবাংলাকে বলেন, আবাসিক মেয়েদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাদ্রাসার আবাসিকের কঠোর নিরাপত্তা বলয় থেকে বাহির হওয়া অসম্ভব। তারা ঘটনার সঙ্গে মাদ্রাসার ভিতরের কারো জড়িত থাকার সম্ভাবনার দিকে ইংগিত দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন দৈনিক দেশবাংলাকে বলেন,সকালে টাঙ্গন জোড়া সেতুর নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই তরুণীকে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে বস্তায় ভরে সেতুর নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com