আই কে মুনঃ
পেটে অত্যাধিক গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যায় ইমরান শিকদার নামে ১০ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্র বাগেরহাট বেসরকারি ক্লিনিক হাজেরা খাতুন হেলথ কেয়ারে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এখন মারাত্নক ঝুকিতে।
রোগীর ভাই ইয়াসিন শিকদারের কাছে ফোন করে জানতে পারি,গত ১০ জুন রোগীর পেটে অত্যাধিক গ্যাস্ট্রিক জনিত যন্ত্রনাদায়ক অবস্হায় ছট ফট করতে থাকলে বাগেরহাট বেসরকারী হাজেরা খাতুন হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
ডাঃ বেলফার হোসেনের অধিনে এক মাস ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্হায় রোগীর শারীরিক উন্নতির বদলে সমস্ত শরীরে আগুনে পোড়ার ন্যায় কালো কালো ফোস্কা ও শ্বাসকষ্ট হয়ে রোগীর অবস্হা আরো অবনতি হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ১৬ জুলাই খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খুলনা মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ব্যবস্হা পত্রে উল্লেখ করেন রোগীকে অতিমাত্রায় (Anleptsc cr 200mg) ড্রাগ ব্যবহার করার ফলে এমন অবস্হার সৃষ্টি হয়েছে। রোগীর ভাই ইয়াসিন শিকদার বলেন সময়মতো খুলনা মেডিকেলে আনা না হলে প্রানের আশঙ্কা ছিল। তিনি আরো বলেন হাজেরা খাতুন হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি হলে ডাঃ বেলফার হোসেন রোগীকে প্রকৃত রোগ ধরতে না পেরে মানসিক সমস্যা আছে বলে মূলত মাত্রাতিরিক্ত ড্রাগ ব্যবহার করেন। যার ফলে রোগীর মুখ সহ সর্বাঙ্গে আগুনে পুড়ে যাবার মত কালো কালো ফোস্কা পড়ে বীভৎস এক ভয়ানক চেহারায় পরিণত হয়।
খুলনা মেডিকেলের চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলেও শরীরের কালো ফোস্কার বিলিনের কোন উন্ততি হয়নি। শরীরে এখন তিব্র ব্যথা আছে এবং মানসিক ভাবে বড় ধরনের ক্ষতি হবার আশঙ্কা করছে। খুলনা মেডিকেলের চিকিৎসক বলেছেন রোগীকে মূলত অতিরিক্ত ড্রাগ ব্যবহার করে ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে।
চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করা হয়েছে।
রোগীর ভাই ইয়াসীন শিকদার বলেন ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে জানার পর ডাক্তার বেলফার হোসেনের সাথে আমি বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে আর আমি মোবাইলে এবং ক্লিনিকে কোথাও খুঁজে পাই নাই। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।
বর্তমানে রোগী বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। রোগীর স্বজনরা উক্ত ক্লিনিক এবং চিকিৎসকের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com