মাজহারুল রাসেল : বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজধানী সোনারগাঁও হচ্ছে পর্যটন নগরী। তাই প্রতিদিন হাজার হাজার দেশী বিদেশি পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন। আর মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ড থেকে সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সহ সোনারগাঁও উপজেলা ও থানায় যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এইটি। কিন্তু এই থানা রোডের রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা হোটেল রেস্টুরেন্ট গুলি থেকে রাতের অন্ধকারে ময়লা পানি ও দূষিত বর্জ্য ফেলে প্রতিদিন রাস্তা নোংরা ও পরিবেশ দূষিত করছে।রোদ বৃষ্টি সব সময়ই রাস্তার উত্তর পাশে নোংরা পানি ও ময়লা আবর্জনা জমে থাকতে দেখা যায়।
পরিবেশের নানা উপাদান মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। মানুষের দায়িত্ব পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা। কিন্তু পরিবেশ রক্ষা না করে কেউ যদি উল্টো পরিবেশের ক্ষতি করে তবে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। এমনকি হুমকির মুখে পড়তে পারে মানুষের জীবন।মানুষ সচেতন কিংবা অসচেতন ভাবে নানা উপায়ে পরিবেশের ক্ষতি করে থাকে। যেখানে সেখানে আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলা তেমনি একটি।
সম্প্রতি উপজেলা ও থানায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটিতে দেখা গেছে এমন অসচেতনতার এমন নজির।এই রাস্তার দুই পাশে নিয়মিত ফেলা হচ্ছে পচা বর্জ্য,পঁচা খাবার, নষ্ট ভাত-তরকারি, দইয়ের খালি বাটি, ডিমের খোসা, জুসের বোতল সহ দুর্গন্ধযুক্ত বিভিন্ন আবর্জনা।
এসব বর্জ্য ফেলছে স্থানীয় কিছু হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর ফলে রাস্তাঘাট দূষণের পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে এখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশ। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী ও বাড়িমজলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী সহ আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাতের আঁধারে এসব বাসি-পঁচা খাবার এনে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছে কিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা। এই বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা কোনো কথা না বলে চলে যায়।
স্থানীয় রেস্টুরেন্টে গিয়ে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীকে ময়লা যুক্ত নোংরা পানি ফেলতে নিষেধ করলে বলে,এখানে সবাই ময়লা ফেলে,তাই আমরাও ফেলি।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় রেস্তোরাঁর মালিকের সঙ্গে। তিনি বলেন,আমাদের প্রতিদিনের যে ময়লাগুলি জমা হয় তা ফেলার জন্য সেরকম কোনো নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় আমি কর্মচারীদের বলেছি ময়লা পানি ও আবর্জনা ময়লার গাড়িতে দিয়ে দিতে,কিন্তু তারা রাস্তায় ময়লা পানি ও ময়লা ফেলে তা আমার জানা ছিল না। এখনি কর্মচারীদের ডেকে নিষেধ করে দিচ্ছি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক ব্যক্তি জানান,বাড়িমজলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত হাজী বিরায়ানি,আনন্দ সুইটস,জালাল টাওয়ারের বার্গার কুইন,স্বপ্নদ্বীপ মার্কেটের আল তাজা বিরায়ানি সহ ফুটপাতের অস্থায়ী খাবারের দোকান গুলি থেকে রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনা ও দোয়া মোছার নোংরা পানি ফেলতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহি জানান,খুব দ্রুত রাস্তার দুই পাশ পরিস্কার করার মাধ্যমে স্থানীয় হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিকেরা যাতে করে আর রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনা না ফেলে সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।