জাকির হোসেন আজাদী: কিংবদন্তী গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্মরণসভা গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ
ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ উদ্যোগে আগামী (১২সেপ্টেম্বর) সোমবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত থাকবেন মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি। এছাড়া সদ্যপ্রয়াত গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিবারের সদস্য ও দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমীর
অনুষ্ঠানটি গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান করেছেন গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক খ্যাতিমান গীতিকবি জুলফিকার রাসেল।
উল্লেখ্য যে, গাজী মাজহারুল আনোয়ার গত ৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ঐদিন সকালে অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
তিনি একই সাথে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, জনপ্রিয় অনেক চলচ্চিত্রের গানের গীতিকার বিগত পাঁচ দশকের মতো সময় তিনি দোর্দণ্ড প্রতাপে বাংলাদেশের সঙ্গীতের জগতে বিচরণ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ যে দিনগুলো বছরের নানা সময় উদযাপন করা হয় সেসময় সারা দেশজুড়ে বাজানো হয় তারই লেখা, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’।
‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’,’গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘আমার মন বলে তুমি আসবে’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’ – এরকম অসংখ্য হৃদয়ে দোলা লাগানো কালজয়ী গানের গীতিকার তিনি।
দুই হাজার ছয় সালে বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের মনোনীত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় ছিল তার রচিত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল’ এই তিনটি গান।
ষাটের দশকের শুরুতে তিনি চিকিৎসায় পড়াশুনা শুরু করেন। দুই হাজার তের সালে বিবিসি বাংলার সাথে এক কথোপকথনে তিনি বলেছিলেন, জন্মস্থান কুমিল্লায় স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি দেয়াল পত্রিকায় কবিতা লিখতেন।