প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১২:৩৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৮, ২০২২, ১:০৯ পি.এম
গলাচিপায় নদী ভাঙ্গন রোধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন,নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার
ইশরাত মাসুদ, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালী, ডাকুয়া ও হোগলবুনয়িা এলাকায় দেখা দিয়েছে রামনাবাদ নদীর তীব্র ভাঙ্গন। ভাঙ্গনে নদী গিলছে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ বিস্তর্ণ এলাকা। অব্যাহত ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালী গ্রাম এলাকায় এ মানববন্ধন হয়। এতে শত শত মানুষ অংশ নেন এবং ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ী, কৃষি জমি, বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালী, ডাকুয়া ও হোগলবুনিয়া গ্রাম। খরস্রোত নদীর রুদ্ররোষে সারা বছর চলে এ ভাঙ্গন। র্বষা মৌসুমে ভাঙ্গনের তীব্রতা আরও বাড়ে।
আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিত কুমার দত্ত মলয় বলেন, নদী শাসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি ও প্রয়াত সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদের সমাধি স্থল এখন হুমকীর মুখে।
ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, গলাচিপা-কলাগাছিয়া সংযোগ সড়কের একাংশ ও গলাচিপা-চরচন্দ্রাইল সংযোগ সড়কের একাংশ ।
স্থানীয় মেম্বার হানিফ মিয়া জানায়, নদী ভাঙ্গন এলাকায় তেতুলতলা বাজার, দুইশত বছরের পুরনো জমিদার বাড়ি, ৫টি মসজিদ, ২টি মন্দির, অসংখ্য বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি। নদী ভাঙ্গন রোধ কিংবা নদী শাসনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে পানি উন্নয়ন বোর্ড দুই বার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে যা টেকসই হয়নি। গলাচিপা নদীর অব্যাহত এ ভাঙ্গনের ফলে গত কয়েক বছরে বাস্তুহারা হয়েছে শতাধিক পরিবার। ইতিমধ্যে এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। জোয়ারের লোনা পানি প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
ডাকুয়া গ্রামের আমির হোসেন মল্লিক, সত্য জিত রায় জানান, আমরা আর অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ চাইনা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি- নদী শাসনের মাধ্যমে ভাঙ্গন রোধ করে আমাদের সহায় সম্পদ রক্ষা করার ব্যবস্থা করুন।
ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় জানান, অনতিবিলম্বে নদী শাসন ও ড্রেজিং করে নদীর গতি পথ পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে ডকুয়া ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রায় দুইশত কোটি টাকার সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানা সম্পদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail:
mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087,
01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model
Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com