ফরিদুল কবিরঃ কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের শীতলপুর মৌজায় অবস্হিত ব্রাদার্স ব্রিকসে (বর্তমানে এস, এম ব্রিকস) অভিযান চালিয়ে মালিকদের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন বিজ্ঞ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আজাহার আলী। সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে স্হানীয় এলাকার মৃত এলাহী বক্স এর ছেলে ভাটা মালিক আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুস সেলিম বাবলু, শামসুল আলম কয়েস জনবহুল এলাকায় অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলো। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শেখ আব্দুস সবুর নামের এক প্রবাসী লিজ দিয়ে ব্রাদার্স ব্রিকসের পরিবর্তে এস, এম (সিয়াম) ব্রিকস এর নামে ভাটা চালাচ্ছে। সরেজমিনে গেলে স্হানীয় এলাকার গ্রাম পুলিশ শওকাত হোসেন, জাহাঙ্গীর, মনি সহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে ততকালীন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামালের নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল আমিনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তের ছাড়পত্র না নিয়ে ইট প্রস্তুত এবং ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করায় ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভাটাটি উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৪৫০ মিটার দূরে অবস্থিত, প্রায় ৪১৮ মিটার দূরে হাসপাতাল এবং খুব নিকটবর্তী বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে। এটি পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী উপযুক্ত নয় বলে জানান তিনি। তারপরও ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় গণপতি গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আব্দুস সামাদের পুত্র সৌদি প্রবাসী শেখ আব্দুস সবুর ও তার স্ত্রী রুমা খাতুনের নামে বছরে ২৫ লক্ষ টাকা চুক্তিতে ২ বছরের অগ্রিম অর্ধ কোটি টাকার বিনিময়ে ইজারা প্রদান করে ইটভাটা চালাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানায়। বর্তমানে অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না নিয়ে ইট প্রস্তুত এবং ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করায় মালিকদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ভাটা বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় উপস্হিত ছিলেন সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম সহ থানা পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আজাহার আলী বলেন, অবৈধ ইটভাটা মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে। ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া পুনরায় ভাটা চালুর কোন সুযোগ নেই।