প্রভাষক মনিরুজ্জামান (মহসিন), নলতা, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা থেকে :
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতা শরীফে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, মুসলিম রেনেসাঁর অগ্রদূত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের কারিগর, 'স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা' এ মহান ব্রতকে সামনে রেখে চলা নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, সুফি-সাধক, পীরে কামেল হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর নলতা পাক রওজা শরীফের পাদদেশে চারদিকে বাঁশের রেলিং ও সু-বিশাল টিনের ছাউনি, লাইটিং সহ মনোরম ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত বিশ্বের ২য় ও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইফতার মাহফিল চলমান আছে।
১৩ রমজান বুধবার ছিল নলতা শাখার মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর সহযোগিতায় নলতা শরীফের ইফতার মাহফিল।
এদিন ইফতারের পূর্বে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর পক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা রাখেন খুলনা আঞ্চলিক প্রধান আহমেদ আশিক রাজী, সাতক্ষীরা শাখা ব্যবস্থাপক মো: মনিরুল ইসলাম ও স্বাগতিক নলতা শাখা ব্যবস্থাপক জি এম মাসুম।
রোজাদার সহ মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে ইফতার পূর্ব দোয়া পরিচালনা করেন নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্জ মুফতি মাওলানা মো: আবু সাঈদ রংপুরী।
বিশাল ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক মো: আজমল হোসেন, খুলনা শাখা ব্যবস্থাপক মো: মাহফুজুর রহমান, খুলনা জোনাল অফিসের কর্মকর্তা মো: মাসুম বিল্লাহ সহ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন এডহক কমিটির সদস্য সচিব ডা: মো: নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ,মিশনের সাবেক কর্মকর্তাবৃন্দ, পল্লী বিদ্যুৎ কালিগঞ্জের ডি জি এম আব্দুর রহমান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্জ আল- ফেরদাউস আলফা,সংবাদকর্মী এবং স্থানীয় সহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নানা শ্রেণি-পেশার ৬ সহস্রাধিক রোজাদার।
প্রতিদিন ভোর থেকে মিশনের রন্ধনশালায় কিছু মেনু প্রস্তুত করে আর কিছু মেনু বাইরে থেকে ক্রয় করে রমজান মাস ব্যাপি নির্ধারিত ইফতারির প্লেট প্রস্তুত করা হয়।
ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল খেঁজুর, চিড়া, ছোলা, সিঙ্গাড়া, কলা, ডিম ও দুধ দিয়ে
প্রস্তুতকৃত সুস্বাধু ফিরনি।
আর একাজ সহ দুপুরের পর থেকে ইফতার মাঠে রোজাদারদের জন্য প্লে-গ্লাস সরবরাহ করতে প্রতিদিন অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে থাকে।
আছে নিরাপদে ফ্রি যানবাহন রাখার ব্যবস্থা।
পীর কেবলার জীবদ্দশায় চালু করা ইফতার কার্যক্রম বর্তমানে স্থানীয় সকল মসজিদ তথা জেলার সমস্ত এলাকায় ব্যাপক বিস্তার লাভ করলেও নলতা শরীফে পীর কেবলার পাদদেশে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে হাজার হাজার রোজাদারদের সাথে উপস্থিত হয়ে ইফতার করা ও আল্লাহর নিকট দোয়া কবুলের আশায় বিকাল থেকে নলতা শরীফ ইফতার মাহফিল অভিমুখে রোজাদারদের জনস্রোত সৃষ্টি হয়। তৈরী হয় রোজাদারদের মিলন মেলা।
এত মানুষ একত্রিত হলেও কোথাও নেই কোনো বিশৃঙ্খলা।