আজিজুল হাকিমঃ আজ ১৮ই এপ্রিল, রোজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা ও খোলা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৫ তারিখে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% হারে কর্তনের নির্দেশ দেওয়ার পর সারা দেশের শিক্ষকগণ তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য রাজপথে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। কোন কোন শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন আগামী ২রা মে যদি কর্তন আইন পরিবর্তন করা না হয় তাহলে অনির্দিষ্ট কালের কর্মসূচী ও ধর্মঘট দেবেন। সরকারের অতিরিক্ত ৪% কর্তন আইনের কারণে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি,বানিয়াচং শাখার উদ্যেগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, বানিয়াচং শাখার সন্মানীত সভাপতি জনাব মোঃ গোলাম আকবর চৌধুরী,আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আহসান হাবীব, সন্মানিত সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, বানিয়াচং শাখা। এ ছাড়া বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষকগণ তাদের মতামত ও যুক্তি উপস্থাপন করেন।আজকের সভায় বিভিন্ন নেত্রীবৃন্দসহ, প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষকগণ শক্তিশালী সংগঠন পরিচালনার জন্যে, নতুন এমপিও ভুক্তিকরণ,সমিতির বই গ্রহণ,সমিতির সকল শিক্ষকদের নিরাপত্তা, শিক্ষকদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল, ম্যাসেন্জার এর সু-প্রয়োগ এবং প্রত্যেকের সাথে পারষ্পরিক যোগাযোগ এর লক্ষ্যে এক সাথে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন।আমি বিশ্বাস করি সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষকগণ যদি এক হয়ে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে একটি জোয়ার তুলতে পারে তাহলে অতিরিক্ত ৪% নয়, আরও যে কোন ন্যায্য দাবি অবশ্যই আদায় হবে। শিক্ষকমহলের সকল শিক্ষকদের আহবান করছি আপনারা সকল ভেদাভেদ ভুলে একই প্লাটফর্ম এ চলে আসুন।মনে রাখবেন শিক্ষকগণ হলেন মানুষ গড়ার কারিগর অর্থাৎ শিক্ষিত জাতি তৈরীতে শিক্ষকদের অবদান ব্যাপকভাবে ভূমিকা পালন করছে।আর শিক্ষিত জনগণ হল সমাজ তথা জাতির উন্নয়নের হাতিয়ার। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের অবদান সম্পূর্ণরুপে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হিসাবে কাজ করে। সরকার তথা এ দেশের সাধারণ জনগণ আমাদেরকে ঠিকই যথাযথ সন্মান ও মর্যাদা দিবেন, ইনশাআল্লাহ। আর সে জন্য প্রয়োজন আমাদের জাতীয় ঐক্য, কঠোর আন্দোলন, ন্যায্য দাবী আদায়ের চেষ্টা, পারষ্পরিক সম্পর্কের উন্নতি,একে অন্যের প্রতি আন্তরিকতা, ছাড় দেওয়ার মনোভাব, সৎচরিত্র, ধর্মীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত, সামাজিকতা, যথাযথ কর্মদক্ষতা,কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও গুরুত্ব ইত্যাদি। সকল শিক্ষকদের আহবান করছি আপনারা সকলেই প্রবলভাবে এগিয়ে আসুন। মনে রাখবেন এটা আমাদের ন্যায্য দাবী এবং জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে আন্দোলন করার উপযুক্ত সময় এসেছে।