মোতালেব বিশ্বাস, ইবি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে আহত করা অভিযোগ উঠেছে একই শিক্ষাবর্ষের অন্য এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে। রবিবার (০৯ জুলাই) সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্ত্বরের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
মারধরে আহত শিক্ষার্থী ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শরিফুজ্জামান শোভন এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ইংরেজি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রানা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শোভন সাড়ে ১০ টায় ক্যাম্পাসের ডায়না চত্ত্বরের দিকে যায়। ঝাল চত্ত্বরে পৌঁছাতে ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মাসুদ রানার নেতৃত্বে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের বিভাগের সজিব ও বাংলা বিভাগের তৌহিদসহ ১২/১২ জন শোভনের উপর অতর্কিত হামলা করে কিল ঘুষি লাথিসহ রাস্তার উপর ফেলে মাথায় আঘাত করে। এতে ভুক্তভোগীর মাথায় মারাত্মক ভাবে ক্ষতি হয়, নাক-মুখ হাতের আঙ্গুল জখমসহ রক্তপাত ও হাতঘড়ি, চশমা, মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া শোভনকে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে দেখলে দেখলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শোভনের সাথে মাসুদের ক্যাম্পাস বন্ধের পূর্বে একধাপে মারামারি ও মনোমালিন্য হয়েছিল। পরবর্তীতে রবিবার ক্যাস্পাস ক্লাস শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিন শোভনকে একা পেয়ে এলোপাতারিভাবে মারধর করে রক্তাক্ত করে মাসুদ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে শোভনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মাসুদ এর আগে শোভনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিল। মূলত সেই অভিযোগের কোন শাস্তি না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে সবাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি শরিফুজ্জামান শোভন বলেন, আমাকে অতর্কিত আঘাত করে মাটিতে ফেলে এলোপাতারিভাবে লাথি মারে। আমাকে বিভিন্ন ছোট অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগে রক্তাক্ত হয়েছে। এছাড়া তিনি প্রশাসনের কাছে তাদের বহিষ্কার চাই বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধের পূর্বে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছিল। ওই বিষয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আজকে সকালে আমরা ঝাল চত্বরে ছিলাম, তখন শোভন আমাদের দেখে খুবই বাজে ভাবে কথা বলছিল। তার বাজে অঙ্গভঙ্গির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে গেলে সে আমার শার্টের কলার ধরে মারধর করার চেষ্টা করে। তখন কিছুটা হাতাহাতি হয়। এছাড়া হাতঘড়ি, চশমা, মানিব্যাগ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ অসত্য বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, ‘মারধরে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোতালেব বিশ্বাস
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
মোবাইল: 01788516697