মোতালেব বিশ্বাস লিখন, ইবি।

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তজার্তিক মানবাধিকার দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদভুক্ত ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে এ দিবসটি পালন করে।

দিবসটি উপলক্ষে  সকাল ১০ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব' মুর‍্যাল চত্বরে সমবেত হয় । এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন এলাকা থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম। এসময়ে মুজিব মুর‍্যাল চত্বরে মুক্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয় এবং এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি  সাহিদা আখতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, মানবাধিকার শুরু হয় মানুষের সমতা, ন্যায্যতা কিংবা স্বাধীনতা থেকে। এগুলো প্রাপ্তির বঞ্চনা থেকে এর ভাঙনটা শুরু হয়। প্রথমে মানুষ অস্বীকার করে আমি আপনাকে এবং আপনার অধিকারকে অস্বীকার করলাম। অস্বীকারের পাশাপাশি মানুষ বিঘ্নিত করে, বাধা দেয়। আপনাকে এটা করতে দেবনা। অস্বীকার করা বিঘ্নিত করা সর্বশেষে লঙ্ঘন করে।

তিনি আরোও বলেন, মানুষের কল্যানের জন্য, মানুষ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং সর্বোপরি মানবতার জন্য যে স্রোত। আমরা বাংলাদেশের মানুষ সর্বপরি সে স্রোতের পক্ষে থাকতে চাই, স্রেতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং তার কারিগর হতে চাই। আজকের এই দিনে আমরা সকলে এ অঙ্গিকার করি।

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালে এই দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এবার দিবসটি 'সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে।