স্টাফ রিপোর্টারঃ কালিগঞ্জ কলেজের দুর্ণীতিবাজ অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে মাঠে নেমেছে একশ্রেনীর স্বার্থান্বেশী মহল। তাঁরা অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে অদক্ষ, অযোগ্য ও ষড়যন্ত্রকারী জি এম রফিকুল ইসলামের নিকট থেকে। কিন্তু কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষকমন্ডলী ও উপজেলা এলাকার সুশীল সমাজে আজ প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তাঁরা অধ্যক্ষ কর্তৃক আত্মসাৎকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরতসহ অর্থলোভী গাজী রফিকুল ইসলামের প্রচলিত আইনে শাস্তির দাবী জানান। কালিগঞ্জ কলেজে বি এন পি জামাত জোট সরকারের আমলে নীতিমালা উপেক্ষা করে সার্টিফিকেট যথাযথ না থাকার স্বত্তেও অবৈধ পন্থায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান তৎকালীন জামাতের এমপি, কেন্দ্রীয় জামাতের সুরা সদস্য যুদ্ধাপরাধী মামলার অন্যতম আসামী গাজী নজরুল ইসলামের ভাই গাজী রফিকুল ইসলাম। সেই থেকে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেন ঐতাহ্যবাহী কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যাপক মন্ডলী ও কর্মচারীসহ উপজেলা এলাকার সচেতন ব্যাক্তিবর্গ। শুরু করেন তাঁর যোগদান নিয়ে নানান তর্ক বিতর্ক, অভিযোগ ও মতবিনিময়। প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেন অধ্যাপক আব্দুল খালেক, অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, অধ্যাপক খোদা বকস্, অধ্যাপক মুকুন্দ কুমার মন্ডল, অধ্যাপক তমিজ উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক আজিজুর রহমান, অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, অধ্যাপক শ্যামাপদ দাশ সহ প্রায় ২০ জন শিক্ষক ও কর্মচারী। এনাদের মধ্যে অনেকেই আজ পৃথিবীতে বেঁচে নেই। অনেকেি অবসরে গিয়েছেন। কিন্তু অদক্ষ আর অযোগ্য অধ্যক্ষকে কেহ রুখতে পারেননি। কলেজের মাত্র দুই তিনজন অধ্যাপক আর কর্মচারীদের নিয়ে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞ্যান করে চলেছেন সবকিছুকে উপেক্ষা করে। থেমে থাকেন নি অবৈধ আয় অর্জন থেকেও। কালিগঞ্জ কলেজকে সরকারি করণের ফাইল নিয়ে কলেজে কর্মরতদের নিকট থেকে দফায় দফায় টাকা তুলেছেন প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা। পৃথক তিন দফায় তিনি উল্লেখিত টাকা হস্তগত করেন। তিনি দীর্ঘ সময়েও উল্লেখিত টাকার আয় ও ব্যায়ের হিসাব দেননি অদ্যবধি। এদিকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মুল আন্দোলনকারীরা কেউ কেউ মৃত্যুবরণ ও অবসরে গেলেও থেমে যায়নি আন্দোলন। বর্তমানে আন্দোলনকারি ১৯ জন শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রদেয় টাকার হিসাব ও ফেরত পাওয়াসহ সরকারি কলেজের অযোগ্য অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন। তারা গাজী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক অভিযোগ সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারিরা হলেন অধ্যাপক মিত্র তাপস কুমার, অধ্যাপক মোসলেম উদ্দীন, অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দীন, অধ্যাপিকা মিসেস হালিমা খানম, প্রভাসক রবিউল ইসলাম, শামিমা আকতার, মৌমিতা মল্লিক, সিরাজুল কবীর, রেশমা সুলতানা, আনন্দ মোহন চ্যাটার্জী, মোঃ শহিদুজ্জামান, প্রভাসক খাঁন মাইনুল ইসলাম, প্রভাসক রুহুল আমিন, এম আসাদুজ্জামান, শংকর কুমার রায়, মোঃ কুদ্দুস আলী, শেখ আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।তাঁরা অভিযোগ করে বলেন অধ্যক্ষ কলেজে যোগদানের পর হতে জামাতের ছত্রছায়ায় থেকে কলেজ ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে লোপাট করেছেন। সেই থেকে অদ্যবধি কোন শিক্ষক কর্মচারীকে কলেজ প্রদত্ত বেতনের একটি টাকাও দেননি বরং ছাত্রীদের উপবৃত্তির বিপরীতে সরকার প্রদত্ত টিউশন ফিসের লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও কলেজের অধ্যাপক মিত্র তাপস কুমার বলেন কালিগঞ্জ কলেজটি সরকারিকরণ হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা, জনগনের মানষকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা মোতাবেক। মধ্যেপড়ে অধ্যক্ষ করেজের স্টাফদের নিকট থেকে প্রতারনামুলক ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। অথচ ধুরন্ধর গাজী রফিকুল ইসলাম সত্যকে আড়াল করতে, নিজের কুকর্মকে ভিন্নখাতে দিয়ে চাকুরীর কয়টাদিন কাটিয়ে দিতে চান। সেটার স্বপ্ন দেখাটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে অধ্যক্ষের। অপরদিকে কলেজের গন্ডি পেরিয়ে অধ্যক্ষের হীন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় নেতা সাঈদ মেহেদীকে জড়িয়ে নানান অপ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনিসহ তার অনৈতিক কাজের সহযোগীরা। চলবে...
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com