মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু।। “বাংলাদেশ আমার অহংকার”এই স্লোগানকে সামনে রেখে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। র্যা ব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, ধর্ষণ, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যা ব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের একটি চৌকোশ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকা হতে ১০ঘটিকা সময়ে অধিনায়ক র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ মহোদয়ের নির্দেশক্রমে, র্যা ব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোঃ ফাহিম ফয়সাল এর নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন ভৈরব রেলওয়ে ষ্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী মোঃ শাহীন মিয়া (২৭), পিতা- মৃত শাহাবুদ্দিন, সাং- পলতাকান্দা, মোঃ মোবারক হোসেন (২৫), পিতা- দারু মিয়া, সাং- চিলিকোট, মোঃ আলামিন (২২), পিতা- মোঃ রুপ মিয়া, সাং- নিউটাউন, নয়ন (২২), পিতা- কাশেম মিয়া, সাং-কমলপুর লোকাল বাসস্টান্ড, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (১৯), পিতা- মোঃ জিল্লু মিয়া, সাং-শম্ভুপুর পাকার মাথা মোঃ রাসেল মিয়া (২১), পিতা- মৃত মুসলিম মিয়া, সাং- ভৈরবপুর উত্তর পাড়া, মোঃ তাকবির (১৯), পিতা- মোঃ ফরিদ মিয়া, সাং- দুর্জয় মোড়, মোমেন মিয়া (৩৫), পিতা- জহির মিয়া, ভৈরবপুর উত্তরপাড়া, থানা- ভৈরব, জেলা- কিশোরগঞ্জগণকে আটক করে। এসময় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আসামিদের হেফাজত হতে ৩টি ধারালো চাকু, ১টি ধারালো খুর, ২ টি কেচি ও ২টি মোবাইল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। ধৃত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ ভৈরব এলাকায় ছিনতাই করে আসছে মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা ভৈরবের ছিনতাই চক্রের সদস্য।উক্ত আসামীরা ছিনতাই করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলম্বন করতো। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে র্যা ব এর এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
উক্ত আসামীদেরকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয় ।