জাবির আহম্মেদ জিহাদ।।
জামালপুরের ইসলামপুরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন খুশি বেগম নামের এক নারী।
বুধবার ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।এরপর উন্নত জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মাহফুজ রহমান বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ৩ নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিদ করেছেন।
তিনি বলেন, যে নবজাতটি এখনো জীবিত আছে সেও মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে। তবে প্রসূতি খুশি বেগম সুস্থ আছেন।
জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল গিলাবাড়ী এলাকার বেপারীপাড়া গ্রামের রিকশা চালক শফিকুল ইসলামের স্ত্রী খুশি বেগমের বুধবার সকালে প্রসব ব্যথা উঠে। পরে স্বজনরা দ্রুত তাকে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও সেবিকারা তার চারটি সন্তান স্বাভাবিক ডেলিভারি করান। প্রসূতি খুশি বেগম একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার স্বামী শফিকুল ইসলাম একজন রিকশা চালক। তিনি ঢাকায় রিকশা চালান।
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্র জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে তার প্রসব ব্যথা উঠলে প্রসুতি খুশি বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সেবিকারা তাদের সর্বশেষ সাধ্য দিয়ে চেষ্টা করে তার স্বাভাবিক প্রসব করান। পরে প্রসূতি মা ও শিশু ৪টির উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু নিবিড় পরিচর্যা শাখা (আইসিসিইউ) ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ২টি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তানের মৃত্যু হয়।
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এএম আবু তাহের জানান, তার হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা অত্যান্ত পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো নবজাতক গুলোর প্রয়োজনীয় সময় হয়নি।
প্রসূতির বড় বোন পারুল বেগম বলেন, আমার ছোট বোন খুশি বেগমের আগেও একটি সন্তান হয়ে মারা গেছে। আজ ৩টা ছেলে ও একটা মেয়ে সন্তান একসাথে জন্ম নেয়ায় আমরা অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু তিনটি সন্তান মারা যাওয়ার পর আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
খুশি বেগমের চাচাতো ভাই যুবরাজ জানান, আমার ছোট বোনের সকালে প্রসব ব্যথা উঠলে। আমরা সবাই মিলে তাকে ইসলামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তারদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নরমাল ভাবে একটি মেয়ে ও ৩টি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পরে ভালো চিকিৎসার জন্য সরকারি খরচে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ৩ জনের মৃত্যু হয়। এতে আমাদের অনেক কষ্ট লাগছে। কারণ এর আগেও খুশির একটি সন্তান হয়ে মারা গেছে।