মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট।। লালমনিরহাট জেলা শহরের পুরাণ বাজার এলাকায় এক উঠানেই মসজিদ ও মন্দির দুটি বেশ জনপ্রিয় শহরের শতবর্ষ ধরে। যার যথার্থই প্রমান ধর্ম যার যার উৎসব সবার’- এ কথাটির। সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের একই স্থানে রয়েছে মসজিদ ও মন্দির। লালমনিরহাট শহরের পুরাণ বাজারে পুরাণ বাজার জামে মসজিদ ও পুরাণ বাজার কালীবাড়ি দূর্গা মন্দির একই উঠানে এ যেন ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কালিবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণের দিকে এগিয়ে যেতে চোখে পড়ছে লাল-নীল আলোর চোখ ধাঁধানো খেলা। মন্দিরের প্রবেশ তোরণ থেকে মন্দির জুড়েই বর্ণিল আলোকের রূপবিন্যাস। পূজার আনন্দ মিস কেরতে চায়না কেউ। ক্ষণে ক্ষণে , শঙ্খ, উলুধ্বনি, কাঁসর আর ঢাকের বাদ্যি জানান দিচ্ছে, ঠাকুরঘরে উদ্ভাসিত মৃন্ময়ী রূপ প্রতিমা বরণ। চিন্ময়ী আনন্দরূপিণীর বোধন হয়েছে গতকাল শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের শারদীয় দুর্গোৎসব। অন্নদিকে এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই উঠানে মসজিদ-মন্দির হলেও উভয় ধর্মেও মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে থেকে যে যার মত ধর্ম নিজ ভাবে পালন করে আসছে। উভয় ধর্মেও শালীনতা বজায় রেখেই একই উঠানে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন উভয় ধর্মের মানুষ। শুধু নামাজ বা পূজা অর্চনাই নয়, উভয় ধর্মের সকল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শান্তিপূর্ণ ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়েই পালন করছেন এখানকার মানুষ।
ভোরে ফজরের সময় মোয়াজ্জিমের কন্ঠে মিষ্টি আজান শেষে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে চলে যাওয়ার পরে পাশেই মন্দিরে শোনা যায় উলু ধ্বনি! এমনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নিদর্শন বহন করছে লালমনিরহাট শহরের শতবর্ষী মসজিদ ও মন্দির দুটি। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। যার অনেক নিদর্শন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে দেশের নানা প্রান্তে। এমনই একটি দর্শনীয় স্থান লালমনিরহাট জেলা শহরের পুরাণ বাজার এলাকায় এক উঠানেই মসজিদ ও মন্দির বেশ জনপ্রিয়।
মুসল্লি জানান, এখানে ধর্ম নিয়ে নেই কোন হানাহানি ও মতবিরোধ। এসব ছাড়াই এখানে পারাস্পারিক সহযোগিতায় ধর্মীয় আচার পালন করে আসছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষরা। ফলে সম্প্রীতির এই স্থানটি দেখতে বিশেষ করে এই দুর্গাপূজার সময় দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এখানে।