সময়ের সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে গেছে। আগের দিনের মতো এখন আর ছবি তোলার জন্য যেমন স্টুডিওতে যেতে হয় না, তেমনি ক্যামেরাতেও ফিল্ম ব্যবহার করতে হয় না। ফটোসাংবাদিক হতে গেলে দক্ষতা ও জ্ঞানের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আয়ত্তে নিবিড় প্রশিক্ষণ ও অধ্যয়ন করতে হয়। প্রতি মুহূর্তে নিজেকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যেতে হয়। যা সাধারণ মানুষের চোখে ধরা পড়ে না, তা ফটোসাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
ব্যাপক উদ্দীপনা ও আনন্দ নিয়ে শুরু হয়েছিল ফটোসাংবাদিকতা। ইতিহাস বলে, ঢাকা আর্ট কলেজ প্রতিষ্ঠার সময়ে চিত্রকলার বিভিন্ন শাখার সঙ্গে ফটোগ্রাফি বিভাগও চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপযুক্ত শিক্ষক না পাওয়ায় সে সময় এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এরপর ষাটের দশকের শুরুতে আর্ট কলেজে ফটোগ্রাফির একটা পূর্ণাঙ্গ বিভাগ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ফটোগ্রাফি পড়ানোর জন্য শিল্পী মুস্তফা মনোয়ারকে আর্ট কলেজে নিয়ে আসেন। ক্যামেরা, লাইটিং, এনলার্জারসহ ডার্করুম সরঞ্জাম কেনা হলো। কিন্তু কোথায় যেন ছেদ পড়ল! অনেক দিন অপেক্ষা করে মুস্তফা মনোয়ার চলে গেলেন টেলিভিশনে।
ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার সীমাবদ্ধতার কথা ভাবলে অবাক হতে হয়, কীভাবে ফটোসাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার বিশেষ করে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, ৮২—৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ৯৬’র অসহযোগ আন্দোলনের ছবি তুলেছেন। এরপূর্বে ভারতবর্ষে ফটোগ্রাফিচর্চার শুরু উনিশ শতকের চল্লিশের দশকে। তবে ফটোগ্রাফির পরশ পাথরের ছোঁয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হল প্রায় একশ’ বছর! ১৯৫২ সালে গোলাম কাসেম ড্যাডিই প্রথম পূর্ব—পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) ফটোগ্রাফিচর্চার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ট্রপিকাল ইন্সটিটিউট অব ফটোগ্রাফি। কিন্তু তার ফটোগ্রাফিচর্চার শুরুটা আরও আগে— ১৯১২ সালে, জন্মভূমি পশ্চিমবঙ্গে। দেশভাগের পর পূর্ব—পাকিস্তানে চলে আসতে বাধ্য হন। ড্যাডিসহ পাঁচ—সাতজন সদস্য নিয়ে ইন্সটিটিউট যাত্রা শুরু করে, কিন্তু তিনি ছাড়া আর কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন সে সম্পর্কে জানা যায় না। ট্রপিকাল ছিল একই সঙ্গে একটি স্টুডিও ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯৬২ সালে নিজের ইন্দিরা রোডের বাড়িতে তিনিই গড়ে তুললেন ক্যামেরা রিক্রিয়েশন ক্লাব। বাংলাদেশে ফটোগ্রাফিচর্চার ইতিহাসে ড্যাডির এই সংগঠনটি অপরিসীম অবদান রাখে। এই ক্লাবকে ঘিরে একঝাঁক প্রতিশ্রম্নতিশীল আলোকচিত্রীর বিকাশ হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ক্লাবের সদস্য ছিলেন, মনজুর আলম বেগ, গোলাম মোস্তফা, বিজন সরকার, সাজেদা বেগম প্রমুখ।
তখন বাংলাদেশে ফটোর ব্যবহার শুরু হয় পঞ্চাশের দশকে। বিশেষ বিশেষ ঘটনা বা পত্রিকার চাহিদা মতো। এই সময় আমাদের দেশে ফটো সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটে। তখন ফটোগ্রাফির শিক্ষাচর্চা শুরু হয় পথিকৃৎ আলোকচিত্রশিল্পী গোলাম কাসেম ড্যাডির হাত ধরে। আলোকচিত্রীদের অভিভাবক হিসেবে তাকে 'ড্যাডি' ডাকা হতো। ১৯৪৮ সালে প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হাবিবুল্লাহ বাহার চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্ট পাকিস্তান ফটোগ্রাফিক সোসাইটি। কয়েক বছর পর গোলাম কাসেম ড্যাডি ও বারডেমের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ইস্ট পাকিস্তান ফটোগ্রাফার্স অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সংগঠন ২টি দীর্ঘস্থায়িত্ব লাভ করতে পারেনি।
সেদিনকার পূর্ব পাকিস্তান বা বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকায় প্রথম টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। সে সম্প্রচার ছিল খুবই সীমিত আকারে এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণে। টেলিভিশনই প্রথম বিশ্বটাকে মানুষের ঘরের মধ্যে এনেছিল। টেলিভিশন আবিষ্কারের পর রুশ বংশোদ্ভুত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবারগের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিসি। আর বাণিজ্যিক ভাবে টেলিভিশন চালু হয় ১৯৪০ সালে। ঘরে বসেই মানুষ তখন সারা বিশ্বের খবরাখবর দেখতে ও শুনতে পায়। উপভোগ করতে পারে বিনোদন। জানতে পারে পৃথিবীর অজানা কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সূচিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই মুদ্রণ মাধ্যমকে ছাপিয়ে জায়গা করে নেয় সম্প্রচার মাধ্যম। বর্তমান বিশ্বে টেলিভিশন সব থেকে শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ফটোগ্রাফিচর্চার দ্বার উন্মোচিত হয় গত শতাব্দীর ওই পঞ্চাশের দশকেই। এই দশকটিকে বাংলাদেশের ফটোগ্রাফিচর্চার ইতিহাসের সোনালি যুগ বললে ভুল হবে না। এ সময় আলোকচিত্রী হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন নাইব উদ্দিন আহমেদ, আমানুল হক, সাঈদা খানমসহ আরও অনেকে। পঞ্চাশের দশকে জনপ্রিয় স্টুডিওগুলোর মধ্যে মেসার্স যাঈদী অ্যান্ড কোং, ফটো মুভি অ্যান্ড স্টিলস, কাফেলা ফটোগ্রাফার্স, ডাস কোম্পানি, ক্রিসেন্ট, করনেশন, গণি স্টুডিও, গণি ব্রাদার্স অন্যতম।
১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সংঘটিত মুদ্রণ এবং ফটোগ্রাফি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফটোগ্রাফের সাথে সংবাদের চিত্র তুলে ধরার অনুশীলন সম্ভব হয়েছিল। যদিও প্রারম্ভিক চিত্রগুলি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল, যেমন টাইমস (১৮০৬) এ লর্ড হোরাটিও নেলসনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার একটি চিত্র, প্রথম সাপ্তাহিক সচিত্র সংবাদপত্র ছিল ইলাস্ট্রেটেড লন্ডন নিউজ, প্রথম ১৮৪২ সালে মুদ্রিত হয়েছিল। চিত্রগুলি ছাপা হয়েছিল খোদাই ব্যবহার একটি সংবাদপত্রের গল্পের চিত্রণে ব্যবহৃত প্রথম আলোকচিত্রটি ছিল প্যারিসে ২৫ জুন ১৮৪৮ সালের জুন দিনের বিদ্রোহের সময় ব্যারিকেডের একটি চিত্র; ছবিটি ১—৮ জুলাই ১৮৪৮—এর খ' Illustration — এ একটি খোদাই হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
পিনহোলই ছিলো আলোকচিত্র আবিষ্কারের সূতিকাগার। বস্তু থেকে প্রতিফলিত আলো পিনহোলের ভেতরের অন্ধকার দেয়ালে ফেলে প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি করা হতো। সে ছবি দেখে তাক লেগে যেতো মানুষ। আর এভাবেই গড়ে উঠলো আলোকচিত্রের এক নতুন যোগাযোগ। Camera Obscura এর পরবর্তী প্রজন্মের ক্যামেরার নাম হয় Camera Lucida ev Light Chamber. ১৮০৭ সালে উইলিয়াম হাইদে ওলাস্টন ক্যামেরাকে বহনযোগ্য আকার দেন। কিন্তু সূর্য ডুবে গেলে ভেলকিও শেষ তাই শুরু হলো ছবিকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা এবং একসময় তা সম্ভব হলো। ১৮২৬ মতান্তরে ১৮২৭ সালে আলোকচিত্র সৃষ্টির দুটো ধর্ম—দৃক বিজ্ঞান ও রসায়নের সমন্বয় ঘটালেন Joseph Nicephore Niepce, তিনিই প্রথম ক্যামেরা দিয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি তুলেন এবং সেটি তুলতে সময় লেগেছিলো প্রায় ৮ঘন্টা। এই ছবি তুলতে প্রখর রোদ প্রয়োজন ছিলো বলে তিনি এর নাম দিলেন Heliograph বা রৌদ্রাঙ্কন। ১৮২৯ সালে Joseph Nicephore Niepce ও দৃশ্যাঙ্কন শিল্পী Louis Jacques Mande Daguerre যৌথভাবে আলোকচিত্রের জন্য কাজ শুরু করেন। ছবি পরিস্ফুটনে Joseph Nicephore Niepce এর পদ্ধতিটি ছিল অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ। ছবি স্থায়ী করার সময়সাশ্রয়ী এবং কার্যকর একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন Louis Jacques Mande Daguerre এবং এটি Daguerretype নামে পরিচিতি পায়। ১৮৩৯ সালের ১৯ আগষ্ট ফ্রান্সের প্যারিসে সায়েন্স একাডেমীতে Louis odakcques Mande Daguerre কর্তৃক দাগ্যেরোটাইপ ( Daguerretype) পদ্ধতির ঘোষণার মাধ্যমে আলোকচিত্র আবিষ্কারের প্রচলিত সময়কাল নির্ধারিত হলো ১৮৩৯ সাল। এই সময়ে সারা পৃথিবীতে শুরু হয়ে গেলো আলোকচিত্রকে ঘিরে উন্মাদনা সেই সাথে ব্যাপক পরিচিতি পেলো দ্যাগ্যেরোটাইপ। ১৮৫০ সাল নাগাদ কেবল নিউইয়র্ক শহরেই গড়ে উঠলো প্রায় সত্তরটির মতো স্টুডিও!
বর্তমান সময়ে গণমাধ্যম কেবল সাংবাদিকতা নয়, আরও বহুবিধ কাজ করে। তারা একদিকে যেমন জনজীবনের প্রাত্যহিক ঘটনাবলি ‘ইনফর্ম’ করে, একই সঙ্গে তারা মানুষকে ‘এডুকেট’, ‘এন্টারটেইন’, ‘অ্যাডভারটাইজ’ ও ‘প্রোপাগান্ডা’ করে। শুধু তা—ই নয়, কিছু কিছু গণমাধ্যম পরিকল্পিতভাবে ‘ফেক নিউজ’ বা তৈরি করা খবর প্রচার করে বলেও অভিযোগ কম নেই! এরকম অভিযোগ পুরোটাই অস্বীকার করা যাবে বলে মনে হয় না। বর্তমান বিশ্বে গণমাধ্যমের প্রভাব বেড়েছে। ব্যাপকতার এ স্বরূপ সাম্প্রতিককালে বহুগুণ সম্প্রসারিত হয়েছে—সব দেশে, সব অঞ্চলে। একমাত্র কমিউনিস্ট ও রাজতন্ত্রীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা ছাড়া সারা বিশ্বেই এ সম্প্রসারণ ঘটেছে। বলতেই হয়, ব্যাপক এ সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে মুক্ত সাংবাদিকতার পথে ইতিবাচক পদক্ষেপ, তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময়কর বিস্তারে যা সম্ভব হয়েছে।
তবে আগেকার এবং বর্তমান সময়ের ফটোসাংবাদিকতার মধ্যে বিস্তর ফারাক লক্ষ করার আছে। আগে যেখানে প্রিন্ট মিডিয়াই ছিল সাংবাদিকতার মূল বাহন, আজ সেখানে ইন্টারনেট এসে তার পরিধি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এসেছে স্যাটেলাইট টেলিভিশন। বিশ শতকে, এমনকি গত শতকের শেষার্ধেও আমাদের উপমহাদেশীয় দেশগুলোয় টেলিভিশন সাংবাদিকতার তেমন প্রসার ঘটেনি। সেসময়ে সাংবাদিকতা, ফটোসাংবাদিকতা বা গণমাধ্যম ছিল নিতান্তই প্রিন্ট বা ছাপাখানানির্ভর। আমরা যদি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা ভাবি, তখন ভারত ও পাকিস্তানের সাংবাদিকতা ছিল আক্ষরিক অর্থেই প্রিন্টনির্ভর। টেলিভিশন যদিও চালু হয়েছিল, কিন্তু মোটেও বিস্তার লাভ করেনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে, ১৯৭২ সালে টেলিভিশনকে জাতীয়করণ করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) নামকরণ করা হয়। আগে এটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু সীমিত সম্প্রচার এলাকা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৭৫ সালের ৬ মার্চ ডিআইটি থেকে টেলিভিশন কেন্দ্র রামপুরায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ১২টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে পঁচানববই ভাগেরও বেশি এলাকা টিভি সম্প্রচারের আওতায় এসেছে। এরপর মনজুর আলম বেগের নেতৃত্বে ১৯৭৬ সালের ৩০ মে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিপিএস)। বিপিএসের মাধ্যমে এ দেশে ফটোগ্রাফির জোয়ার শুরু হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হচ্ছে ১৯৮০ সালে রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার চালু। বিটিভির সম্প্রচার পরিধি বাড়াতে অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে সরকারি টেলিভিশন হিসেবে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ টিভি চালু রয়েছে। এছাড়া দেশে ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন অনুমোদন পেয়েছে, যার মধ্যে ৩৫টি সম্প্রচারে রয়েছে। এরপূর্বে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিপিএসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক ইন্সটিটিউট। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশন হিসাবে এটিএন বাংলার যাত্রা শুরু হয়। তবে বেসরকারি খাতে টেরিসট্রিয়াল টিভি হিসাবে প্রথম সম্প্রচার শুরু করে ২০০০ সালে একুশে টেলিভিশন। বলা বাহুল্য, একুশে টিভি বাংলাদেশে টেলিভিশন সাংবাদিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এরপর দ্রুত স্যাটেলাইট টেলিভিশনের বিকাশ ঘটে দেশে এবং গণমাধ্যমের পরিধি বিস্তারে নতুন যুগের সূচনা করে। ১৯৯৮ সালে দৃক পিকচার লাইব্রেরির অঙ্গ—প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে পাঠশালা—দ্য সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব ফটোগ্রাফি। পাঠশালা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি ইনস্টিটিউটি। আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে সিনেসিক, ম্যাপ ও আলোকসহ কয়েকটি সংগঠন গড়ে ওঠে।
ফটোগ্রাফারদের যথেষ্ট সচেতন থেকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তার কাজের তুলনায় সময় থাকে অল্প। সর্বদাই তার সময়ের সাথে যুদ্ধ করে বিজয়ী হতে হয়। ইদানীং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবাদে ঘটনাস্থল থেকে ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে দ্রুত এবং সময় মত পর্যাপ্ত ছবি পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। তবে আমাদের দেশের ফটোগ্রাফাররা এখনও সবাই এই সুযোগ—সুবিধা ব্যবহার করে ফটো সাংবাদিকতায় অবদান রাখতে পারছেন না। অথচ তারাই প্রতিনিধিত্ব করে শহর—গ্রামের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সর্বত্র ছুটে যাচ্ছেন সবার আগে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়, বন্যা, খরা, ২০০৫ সালে সিরিজ বোমা হামলা, ১/১১’র আন্দোলন, চব্বিশের আন্দোলন ক্যামেরার ফ্রেমে ধারণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রেরণা যুগিয়েছেন ফটোসাংবাদিকরা।
তবে পঞ্চাশের দশকে জনপ্রিয় স্টুডিওগুলোর মধ্যে প্রাণসায়ের’র ধারে গড়ে ওঠা রেজিষ্ট্রি অফিসপাড়ার কচি এর মর্ডাণ স্টুডিও অন্যতম। এই স্টুডিও’র মাধ্যমে সাতক্ষীরায় প্রথম ফটোগ্রাফিচর্চা শুরু হয়। এরপর পুরাতন হাসপতাল সংলগ্ন প্রাণসায়ের এর ধারে একে একে ১৯৬৫ সালের কাটিয়া গ্রামের সাখা এর নেতেৃত্বে লাইট স্টুডিও, ১৯৬৯ সালে পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়া গ্রামের মোঃ আমজাদ হোসেন এর নেতৃত্বে এলিট স্টুডিও, মুনজিতপুর গ্রামের মোরর্শেদ এর নেতৃত্বে জনতা স্টুডিও, ১৯৭৫ সালে একই গ্রামের গাজী আরশাফ এর নেতৃত্বে গাজী স্টুডিও, ১৯৮৫ সালে পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়া গ্রামের আমানুল্লাহ এর নেতৃত্বে্ আলো ছায়া স্টুডিও প্রতিষ্ঠিত হয়। উপরিউক্ত স্টুডিওগুলোর মাধ্যমে ফটোগ্রাফিচর্চার প্রসারতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে জেলা শহরেই গড়ে উঠলো প্রায় শতাধিক স্টুডিও! কিন্তু ১৯৭৩ সালের পরে সাতক্ষীরায় এলিট স্টুডিও’র সত্ত্বাধিকারী মোঃ আমজাদ হোসেনের মাধ্যমে প্রথম ফটোসাংবাদিকতার বিকাশ ঘটে। এরপর ’৯০ দশকে এসে সাতক্ষীরায় ফটোগ্রাফিচর্চা আরও বেশি ঋদ্ধ ও সুসংগঠিত হল। আলোকচিত্রের বাস্তবতার গায় একটু একটু রোমান্টিসিজমের রং লাগতে শুরু করল। কম্পোজিশন ভাঙা শুরু হল। উঁকি দিল পরীক্ষা—নিরীক্ষাও। এ সময় আমরা পেলাম একঝাঁক সৃজনশীল আলোকচিত্রীকে— এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস (উত্তর কাটিয়া), ডিএম কামরুল ইসলাম (পলাশপোল), আব্দুল আলিম (মুনজিতপুর), বন্দে আলী ও শাহানুজ্জামান টিটু (পুরাতন সাতক্ষীরা), ফিরোজ কবীর (সুলতানপুর), তুহিন সানজিদ (মিঠাবাড়ী নগরঘাটা) তমজিদ মল্লিক (রাজারবাগান), মোহাম্মাদ আলী সুজন (পলাশপোল তেঁতুলতলা), প্রয়াত আহসান (সুলতানপুর), প্রয়াত লিয়াকাত আলী, মনিরুল ইসলাম মনি (পাটকেলঘাটা), রেজাউল ইসলাম (কালিগঞ্জ), সুমন রায় গণেশ (তালা), মোশারফ হোসেন আব্বাস (পারকুখরালী), তুলসী দাশ (শ্যামনগর) ও বদিয়ার রহমান প্রমুখ। তাদের সবাই তখন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক। অনেকে এখনও কাজ করছেন। তাদের ত্যাগ, নিষ্ঠা আজকে আমাদেরকে করেছে সম্মানিত।
২০০০ সালের পরে সাতক্ষীরায় ফটোসাংবাদিকতাকে যারা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন— মনিরুল (কৈখালী), ফয়সাল, আরিফুল ইসলাম আশা, মীর মোস্তফা আলী, মোঃ আলতাফ বাবু (মাগুরা তালতলা), হাবিবুর রহমান পলাশ (হরিশপুর), আব্দুর রহিম ও আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ (মুনজিতপুর), মেহেদী আলী সুজয় (পলাশপোল তেঁতুলতলা), খন্দকার আনিসুর রহমান (দেবনগর), জাকির হোসেন মিঠু (পলাশপোল), সৈয়দ সাদিকুর রহমান (নলকূড়া), সাকিব, কাজী জাহিদ আহমেদ ও কাজী ফরিদ আহমেদ (আনন্দপাড়া), আব্দুর রহমান মিন্টু, রিকু, সবুজ, রবিউল আওয়াল, রাহাত রাজা, শহীদুজ্জামান শিমুল, আমিনুর রহমান সবুজ, মো: জাহাঙ্গীর হোসেন সবুজ, মো: ইয়ারুল ইসলাম, একরামুজ্জামান জনি, মো: জাকির হোসেন, আবিদ হাসান (লস্করপাড়া), মোঃ সোহরাব হোসেন, মো: সাগর হোসেন, চন্দন চৌধুরী (ধোপাপাড়া), মামুন রেজা, মাসুুদুর রহমান রানা, মীর তাহমিদ, বেলাল হোসেন (গড়েরকান্দা), হাবিবুর রহমান, মোঃ আহাজ উদ্দিন সুমন ও আব্দুস সেলিম (চালতেতলা), ইব্রাহিম খলিল (কাটিয়া), মোঃ রিজাউল করিম (তালা), তৌহিদুর রহমান (আলিপুর), জাহিদুর রহমান পলাশ, প্রয়াত অনিক (পলাশপোল) সহ আরও অনেকে।
যাই হোক, ফটো সাংবাদিকতার অতীত ছিল সংগ্রামে পরিপূর্ণ। অতীতে ফটোসাংবাদিকদের সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত সুফল বর্তমান প্রজন্মের ফটোসাংবাদিকরা ভোগ করছেন। আজকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে কত সহজে, কত দ্রুত সংবাদপত্রে ফটো সাংবাদিকতার কাজ করছে এটা তাদেরই ফসল। ফটোগ্রাফির অনেক সুযোগ—সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে সত্য, কিন্তু ফটো সাংবাদিকতার উৎকর্ষতা সেই সাথে বাড়েনি। দুঃখের সাথে বলতে হয়, ফটোগ্রাফারের মর্যাদা বেড়েছে, মজুরী বেড়েছে, ফটোগ্রাফির প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে সেই তুলনায় ফটোগ্রাফারের মান বাড়েনি। আমাদের অতীত ও বর্তমানকে মূল্যায়ন করবে ভবিষ্যত। তবে আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশে ফটো সাংবাদিকতার মান অনেক উন্নত দেশের চাইতে বেশি এবং ভালো পেশা হিসেবে আজকে জাতীয়ভাবে এর মর্যাদার স্বীকৃতি পেয়েছে। এটাও সত্য যে, অপেশাদার ফটো সাংবাদিক দিয়ে বাজার ভরে গেছে। একটি ক্যামেরা নিয়ে সাধারণ মানুষকে নানানভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই মহান পেশার ঐতিহ্য ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করে চলছে এক শ্রেণির টাউট। এর থেকে মুক্ত হওয়ার সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান।
কোনো ধরনের অনুষ্ঠানে কীভাবে ছবি তুলতে হবে এ ব্যাপারে তাদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেকেই আজ ফটো সাংবাদিকদের দাওয়াত করেন না বা করতে চান না। কারণ একটি নিউজ করার উদ্দেশ্যে ফটোসাংবাদিকদের ডাকলে তাদের টাকা দিতে হয়। এছাড়াও সরকার এবং রাজনৈতিক দলের লেজুর—বৃত্তিতে যদি ফটোসাংবাদিকরা সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ে তবে পরিণামে সমাজে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
তাদের কোনো অনুষ্ঠান বা প্রেস কনফারেন্সে আমন্ত্রণ ছাড়া যেতে পারা বা না পারা সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানা থাকা দরকার। কারণ আজকাল এসব বিষয়ে মুখরোচক কথা শোনা যায়। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও প্রাইভেসি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা দরকার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছবি তুলতে এবং প্রকাশ করতে পারা যাবে বা পারা যাবে না সে বিষয়ে বিভিন্ন দেশে কড়াকড়ি আইন আছে এবং তা অমান্য করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে আমাদের পোশাক পরিচ্ছদ ও নিয়মানুবর্তিতা সম্পর্কে জানা থাকা দরকার, এ ক্ষেত্রে অনেকেই যথাযথ নিয়ম—নীতি মানতে ব্যর্থ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের সমস্যা ও অনুষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন না করে কীভাবে কাজ করা যায় তার সঠিক গাইড লাইন থাকা আবশ্যক।
বর্তমান যুগে সাংবাদিকতার প্রভাব ও প্রসার বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে সংকটও। সাংবাদিকতা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ পেশা, এ পেশা মহত্ত্বের দাবিদার। তবে জানা ও মানা দুটোই প্রয়োজন যে, এ পেশা সংবাদকর্মীদের জন্য কেবলই চাকরি নয়, কিংবা সংবাদপত্রশিল্পের মালিকদের জন্য কেবলই ব্যবসা নয়। অনেক ক্ষেত্রে এর অন্যথা ঘটে বলে সাংবাদিকতা মর্যাদা হারায়। সনাতনী গণমাধ্যম যেমন প্রিন্ট, রেডিও এবং টেলিভিশন কাজ করে প্ল্যাটফর্ম নির্ভর মিডিয়া হিসেবে অর্থাৎ এই গণমাধ্যমগুলো এখনো কনটেন্ট প্রচারের কাজে নিজেদের প্রধান বা মূল প্ল্যাটফর্মকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ব্রেকিং নিউজ, ছবি, ভিডিও, অডিও, টকশো, বিনোদন ভিত্তিক অনুষ্ঠানসহ নানা কনটেন্টের বিচরণ আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশি গণমাধ্যমের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা দিনে দিনে আরও বেশি মাল্টিমিডিয়া নির্ভর হয়ে উঠেছে। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক কিংবা অনলাইন নিউজ মিডিয়াসহ প্রায় সব ধরনের গণমাধ্যম অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ওয়েব ভিডিওর প্রতি বেশি জোর দিচ্ছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য আলাদা ডিজিটাল স্টোরি প্রচার করছে যা টেলিভিশনের স্ক্রিনে দর্শকরা দেখতে পান না। আর এই কাজের জন্য ভিডিও বিভাগে আলাদা লোকবল নিয়োগ দিচ্ছে দেশের মূলধারার গণমাধ্যমগুলো।
ফটোগ্রাফি বা ফটোসাংবাদিকতার পথচলা থেমে থাকেনি। অনেকটা ব্যক্তি—উদ্যোগেই এগিয়ে চলেছে ফটোগ্রাফিচর্চা। বর্তমানে দেশের আলোকচিত্রীরা বিশ্বের সেরা ফটোগ্রাফার হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চোখ এখন এ দেশের আলোকচিত্রীদের কাজের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই সফলতার পেছনে রয়েছে কিছু মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা। এ জন্য জেলায় জেলায় ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন সরকারি বিনিয়োগ। এছাড়াও প্রযুক্তির পরিবর্তনে বিপ্লব হয়েছে। সেই তুলনায় তাদের দায়িত্ব আচরণে এবং মান উন্নয়নে পরিবর্তন আসেনি। সম্মিলিতভাবে পরস্পর সহযোগিতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করলে ফটো সাংবাদিকদের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হবে। তাদের সীমাবদ্ধতা এবং সমস্যা অনেক, এগুলো তুলে ধরে সমাধান করা উচিত। পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা, সচেতনতা ও নৈতিকতার বিষয়টি সম্পর্কে নবীনদের যথাযথভাবে পালনে কোনো নির্দেশ ও জবাবদিহিতা নেই। আত্মসমালোচনা করে ত্রুটিমুক্ত হয়ে সুশৃঙ্খল ও নৈতিকতার সাথে জাতীয় স্বার্থে পেশাগত কাজে ভূমিকা রাখাই একজন আদর্শ ফটো সাংবাদিকের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।
তথ্যসূত্রঃ
১। হিমেল আহমেদ, ক্যামেরার পেছনের মানুষ, risingbd.com, তারিখ—৭ জানুয়ারি ২০২০।
২। এ. কে. এম মহসীন, ফটো সাংবাদিকতার অতীত ও বর্তমান, m.dailyinqilab.com, তারিখ— ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।
৩। সাহাদাত পারভেজ, ৫০ পেরিয়ে বাংলাদেশের আলোকচিত্র, bangla.thedailystar.net, সোমবার আগস্ট ২২, ২০২২।
৪। ফটোসাংবাদিকতা—উউকিপিডিয়া
৫। মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব, ক্যামেরা ও ফটো সাংবাদিকতার ইতিহাস, somoychitro.com, তারিখ—১৯ আগস্ট ২০১৬।
৬। প্রকাশ ঘোষ বিধান, টেলিভিশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম, patradoot.net, তারিখ—১৬ নভেম্বর ২০২৪।
৭। সাক্ষাৎকারঃ মোঃ আহসান উল্লাহ, পিতাঃ মৃত সুলতান আহমেদ, মাতাঃ মৃত আছিরন বিবি, গ্রামঃ পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়া, পোষ্ট+থানা+জেলাঃ সাতক্ষীরা, তারিখ—২৪ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর—০২:২৩ মিনিট।
৮। সাক্ষাৎকারঃ মোঃ রবিউল ইসলাম, পিতা—মৃত আব্দুস সাহেব আলী, মাতা—মৃত মাহবুবা বিবি, গ্রামঃ গোপীনাথপুর, পোষ্টঃ বেনেরপোতা, থানা+জেলাঃ সাতক্ষীরা, তারিখ—২৪ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর—১২:৪৮ মিনিট।
৯। সাক্ষাৎকারঃ এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, পিতা—মৃত মোঃ আব্দুল গফুর, মাতা—আয়েশা খাতুন, গ্রামঃ উত্তর কাটিয়া, পোষ্ট+থানা+জেলাঃ সাতক্ষীরা, তারিখ—২২ নভেম্বর ২০২৪, রাত—০৮:২৭ মিনিট।
১০। সুদীপ্ত সালাম, বাংলাদেশে ফটোগ্রাফি চর্চার ধারা, jugantor.com, তারিখ— ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
১১। হারুন হাবীব, গণমাধ্যমে সাংবাদিকতার প্রকৃতি, jugantor.com, তারিখ—০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
লেখকঃ মোঃ মুনসুর রহমান, বার্তা সম্পাদক, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো। মোবাইল নং—০১৭৫৪২৪১৩৮৮।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, E-mail: mkprotidin@gmail.com, Contact: (+88) 01643-565087, 01922-619387; Mailing Address: House# 4/A, Main Road, Ati Model Town, Ati, Keraniganj, Dhaka-1312
© All rights reserved © MKProtidin.Com